রাশিয়া বিশ্বকাপে ইংলিশদের দাপট চলছেই। ২৪ মে রবিবার তারা ৬-১ গোলে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে পানামাকে। সেইসঙ্গে ‘জি’ গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিটও নিশ্চিত করেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
নিঝনি নভগোরদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। একের পর এক আক্রমণে তুলনামূলক খর্বশক্তির দল পানামার রক্ষণভাগকে নাজেহাল করে তুলে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। তবে ইংল্যান্ডের প্রথম গোল আসে আট মিনিটে। কেইরান ট্রিপারের কর্নার থেকে আসা বল দুর্দান্ত হেডে পানামার জালে জড়ান জন স্টোনস।
১৯ মিনিটে জেসে লিনগার্ডকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফেলে দেন পানামার দুই ডিফেন্ডার। ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) পদ্ধতিতে পেনাল্টি পায় ইংল্যান্ড। পেনাল্টির সেই সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেননি হ্যারি কেন। বুলেট গতির শটে ইংল্যান্ডের গোল ব্যবধান্দ দ্বিগুন করেন দলপতি।
পিছিয়ে পড়ে পানামাও আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে ২৯ মিনিটে তাদের করা একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ আলোর মুখ দেখেনি। বরং ৩৬ মিনিটে উল্টো আক্রমণ করে গোল করে বসে ইংল্যান্ড। রহিম স্টার্লিংয়ের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় বল পায়ে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোড়ালো শটে অসাধারণ এক গোল করে ইংলিশ সমর্থকদের উৎসবের জোয়ারে ভাসান হ্যারি কেন।
৪০ মিনিটে আবারও ইংলিশদের গোল। স্টার্লিংয়ের শট পানামা গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে তা আবারও জালে জড়ান স্টোনস। এটা তার ব্যক্তিগত দ্বিতীয়, আর দলীয় চতুর্থ গোল। তবে ইংলিশদের গোল উৎসব তখনও থামেনি, ৪৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে হ্যারি কেনকে মাথায় আঘাত করে ফেলে দেন এসকোবার। বিনিময়ে হলুদ কার্ড দেখান ম্যাচ রেফারি। আর সেই পেনাল্টি থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন।
এর ফলে ৫-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় থ্রি লায়ন্সরা, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসেরই মাত্র পঞ্চম ঘটনা। এর আগে সর্বশেষ প্রথমার্ধেই পাঁচ কিংবা তারও বেশি গোল হজম করতে দেখা যায় ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ব্রাজিল-জার্মানির ম্যাচে।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে অসাধারণ এক গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে নেন হ্যারি কেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর এবারের বিশ্বকাপে এটা দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপে তার এখন মোট গোল সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচটি।
ম্যাচের ৭৮ মিনিটে অবশ্য পানামাকে স্বান্ত্বনার এক গোল উপহার দেন বালয়। এর পরের সময়টাতে আর কোনো গোল না হলে ৬-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।