তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস- এলএনজি মিশ্রিত গ্যাস ব্যবহার শুরুর আগেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি যুক্তি সংগত নয় বলে গণশুনানিতে দাবি করেছে ভোক্তা অধিকার আন্দোলন।
সোমবার রাজধানীর টিসিবি অডিটোরিয়ামে গ্যাসের মূল্যহার পরিবর্তন আবেদনের উপর গণশুনানিতে অংশ নিয়ে রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও ব্যবসায়ীরা জানান সেবার মান না বাড়িয়ে জ্বালানি খাতের মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই কাম্য নয়।
দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৪১২ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে দেশীয় গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর বিভিন্ন কূপ থেকে উত্পাদন হয় ২৭৯ কোটি ঘনফুট। ফলে ঘাটতি থাকছে প্রায় ১৩২ কোটি ঘনফুট। ২০৪১ সাল নাগাদ চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৭৮ কোটি ঘনফুটে। তবে এর মধ্যে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার না হলে, এখন যেসব কূপ থেকে উত্পাদন হচ্ছে সেগুলোর মজুদ ফুরিয়ে যাবে। অর্থাৎ ওই সময় দেশীয় উত্স থেকে গ্যাস উত্পাদন শূন্যতে দাঁড়াবে।
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির যৌক্তিকতা নিয়ে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) দেয়া এক প্রতিবেদনে এই চিত্র ও পূর্বাভাস তুলে ধরে পেট্রোবাংলা।
দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় চাহিদা মেটাতে এলএনজি মিশ্রিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হচ্ছে। তবে, এর আগেই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই গণশুনানির আয়োজন।
এতে অংশ নিয়ে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম গ্যাস সংকটের প্রেক্ষিতে এলএনজি ব্যবহারের আগে মূল্যবৃদ্ধি না করার পক্ষে ক্যাবের যুক্তি তুলে ধরেন।
এ সময় তিতাস গ্যাসের সমালোচনা করে বক্তারা জানান, বাসা বাড়িতে ঠিকমতো গ্যাস পাওয়াই যায় না। তারপরও প্রতিবছরই মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। তাই এ থেকে নিস্তার চান তারা।
এছাড়াও গ্যাস সরবরাহের সকল পর্যায়ে ব্যয় গণশুনানির ভিত্তিতে যাচাই বাছাই করে গ্যাসের মূল্যহার বৃদ্ধি করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরে ভোক্তা অধিকার আন্দোলন।