ঢাকার ধামরাই উপজেলায় পূর্ণিমা আক্তার (৭) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৬ জুন, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার সুয়াপুর এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
পূর্ণিমা সুয়াপুর ইউনিয়নের রওহা গ্রামের শামসুল ইসলামের মেয়ে। সে রওহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।
পূর্ণিমার বাবা শামসুল জানান, সোমবার বিকেলে বাড়ির পাশের রওহা বাজারে ডিম ও ডাল আনতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরেনি পূর্ণিমা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে মঙ্গলবার সকালে পাশ্ববর্তী বাঁশঝাড়ের ভেতরে পূর্ণিমার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শামসুলের দাবি, তার মেয়ের যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতচিহ্নও ছিল।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধামরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকারিয়া হোসাইন জানান, শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি না, সে বিষয়টি ময়নাতদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার বাবা অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ধামরাই থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।