বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোহাম্মদ এরফানুর রহমানকে ঘুষের টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার নাওঘাট গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুলাউড়া রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের রুমে রেলওয়ের এক কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের সময় তাকে আটক করে দুদক টিম। এরপর রাত সাড়ে ১০টায় কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় এরফানকে হস্তান্তর করা হয়।

দুদক টিম সূত্র জানায়, এরফানুর রহমান গত ৫ বছর আগে রেলওয়ের কুলাউড়া সেকশনের ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসেবে যোগদান করেন। কুলাউড়ায় যোগদান করেই শুরু করেন ঘুষ বাণিজ্য। তাঁর অধীনস্থ সকল কর্মচারীর কাছ থেকে তিনি বিভিন্ন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জিম্মি করে ঘুষ আদায় করতেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার অধীনস্ত কর্মচারী রেলের ওয়েম্যান আবুল হোসেনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ (মাসোহারা) গ্রহণের সময় দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহার নেতেৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল গোপন সংবাদের সময় অভিযান চালিয়ে তাকে হাতেনাতে আটক করেন।

দুদক হবিগঞ্জ জেলা সম্মিলিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মলয় কুমার সাহা জানান, এরফান দীর্ঘদিন থেকে তার অধীনস্ত কর্মচারীদের কাছ থেকে ঘুষ ও মসোহারা আদায় করতেন। তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে কুলাউড়া রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

কুলাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, দুদক কর্মকর্তারা এরফানুর রহমানকে রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করে দিয়ে গেছেন। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।