ভারতের দিল্লিতে বসবাসরত মিহিরের ওজন মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই ৬০ কেজি হয়। তার পরিবারের সবার স্বাস্থ্য ভালো হওয়ায় তার পরিবার মনে করেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু মিহিরের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ওজন অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়তে থাকে। ১৪ বছর বয়সে তার ওজন গিয়ে দাঁড়ায় ২৩৭ কেজিতে। এত ওজনের কারণে মিহিরের পরিবার চিন্তায় পড়ে যায়।
মিহিরের ওজনের কারণে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন তার পরিবার। দিল্লির ম্যাক্স হাসপাতালের মেটাবলিক অ্যান্ড বেরিয়াট্রিক সার্জন প্রদীপ চৌবে মিহিরের ওজন কমানোর জন্য অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। হাসপাতাল কর্তৃৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয় অস্ত্রোপচারের আগে মিহিরই ছিল বিশ্বের সবচেয়ে মোটা কিশোর।
অস্ত্রোপচারের আগে চিকিৎসকরা মিহিরকে একটি নিয়মের মধ্যে আনার চেষ্টা করেন। তার একটি ডায়েট চার্ট তৈরি করে প্রায় ৪০ কেজি ওজন কমানো হয়।
একজন ব্যক্তি মোটা নাকি রোগা তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির বডি মাস ইনডেক্সের (বিএমআই) ওপর। সাধারণভাবে একজন ব্যক্তির বিএমআই ১৮ থেকে ২২ হলে সেটিকে সাধারণ স্বাস্থ্য বলা হয়। অার যদি বিএমআই ৩২.৫ বা তার বেশি হয় তাকে মোটা বা স্থূল বলা হয়ে থাকে। আর বিএমআই যদি ৬০ এর বেশি হয় তাহলে তাকে অস্বাভাবিক মোটা বলা হয়। মিহিরের বিএমআই ছিল ৯২। বিএমআই বেশি হওয়ার কারণে চিকিৎসক তার অস্ত্রোপচার করতে ভয় পাচ্ছিল।
চিকিৎসক প্রদীপ চৌবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২৩৭ কেজি ওজন ছিল মিহিরের। ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারত না সে। এমনকি ঠিকমতো কথাও বলতে পারত না। ১৪ বছর বয়সে বিএমআই ৯২ শুনে প্রথমে ভয় পেয়ে যাই আমরা। তাই অস্ত্রোপচারের আগে তার ৪০ কেজি ওজন কমাতে বলা হয়।
অস্ত্রোপচারের পরে মিহিরের ওজন দাঁড়ায় ১৬৫ কেজিতে। চিকিৎসক তার খাবারে চার্ট তৈরি করে দিয়েছেন। প্রদীপ চৌবে জানান, তার ওজন ১০০ কেজির নিচে আনার চেষ্টা করতে হবে।