যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন থেকে দিনে গড়ে অন্তত ৪০ হাজার লিটার তেল চুরি হচ্ছে।
৭ জুলাই, শনিবার সমকালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
রেলওয়ে সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬০টিরও বেশি স্থানে চলন্ত ট্রেন, ইঞ্জিন, পাওয়ার কার ও লোকোশেড থেকে তেল চুরি হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর যে পরিমাণ তেল চুরি হয় তার অানুমানিক বাজারমূল্য ৯৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
রেলওয়ের কিছু অসাধু লোকের সহযোগিতায় শতাধিক সিন্ডিকেট তেল চুরিতে সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
রেলওয়ে বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে প্রতিদিন সাড়ে তিনশ’ ট্রেন চলাচলে দিনে গড়ে প্রায় পৌনে দুই লাখ লিটার ডিজেল খরচ হয়।
এই ব্যবহৃত তেল থেকে বছরে চুরি হয়ে থাকে প্রায় দেড় কোটি লিটার। অর্থাৎ দিনে গড়ে অন্তত ৪০ হাজার লিটার।
রেলপথ সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘তেল চুরির সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চলন্ত রেলের তেল চুরি ঠেকানোর ব্যাপারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রেলপথ সচিব। ইতিমধ্যে তেল চুরি ঠেকাতে রেলইঞ্জিন ক্যালিব্রেশন বা ক্যালিব্রেটেড করা হয়েছে।
এতে প্রতিটি তেল ট্যাঙ্কারের সঙ্গে স্কেল লাগানো থাকবে। একটি ইঞ্জিন এক কিলোমিটার বা ১০ কিলোমিটার চলতে কতটুকু তেল লাগবে, তার হিসাব রাখা হবে।
পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ ফারুক আহমেদ বলেন, ‘চুরির সঙ্গে জড়িতদের পাশাপশি যারা চোরাই তেল বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নিতে রেলওয়ে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’