নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর শরীয়তপুরে এক মাদক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি গোয়েন্দা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
সোমবার শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের নাম কালু শিকদার। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার খেলসী বিলাসখান গ্রামের সিরাজ সিকদারের ছেলে।
পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
নিহতের চাচা সেলিম সিকদার আরটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, গেল ছয় জুলাই বাদ মাগরিব সাদা পোশাকের গোয়েন্দা পুলিশ কালুকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আর তার কোনও সন্ধান মেলেনি। কালুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় পালং বাজারের ব্যবসায়ী কুদ্দুস মোড়লের ছেলে আওলাদ মোড়ল সঙ্গে ছিল। এরপর কালুর পরিবার থানায় ডায়েরি করতে গেলে পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির ডায়েরি নিতে অস্বীকার করে।
এদিকে কালুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর পালং বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী রাসেদ সরদার নিহত কালুর বোন কাকলী ও মা শান্তা বেগমের কাছে কালুকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
এরপর আজ সোমবার ভোরে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কাশিপুর বটতলা নামক স্থানের শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কের পাশে কালুর গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীয়রা পালং মডেল থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেয়। সেখানে কালুর মরদেহ তার পরিবার সনাক্ত করে।
পুলিশের দাবি কে বা কারা তাকে গোয়েন্দা পরিচয়ে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কালু সিকদারের নামে একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে মাদক ব্যবসার দ্বন্দ্বের জের ধরে কালু সিকদার প্রতিপক্ষের হাতে খুন হতে পারেন। এ ঘটনায় পালং মডেল থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
পালং মডেল থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান সাধারণ ডায়েরি না নেয়ার কথা অস্বীকার করে আরটিভি অনলাইনকে বলেন, কালুকে কে বা কারা হত্যা করেছে জানি না। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কালুর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।