সুপারফুড হিসেবে হলুদের জনপ্রিয়তা কম নয়। এতে থাকা কারকিউমিন রাসায়নিকটি স্বাস্থ্যের বিভিন্ন উপকারে আসে। রান্নায় গুঁড়ো হলুদ ব্যবহার হয়, অনেকে কাঁচা হলুদ ব্যবহার করেন ত্বকের যত্নে। এর রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যানালজেসিক, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং থার্মোজেনিক গুণাগুণ। হলুদ শুধু আপনাকে সুস্থই রাখে না, হলুদের চা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। কিন্তু কীভাবে?
১) হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ
ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহের কারণে শরীরে চর্বি জমে এবং ওবেসিটি বা অতিরিক্ত স্থূলতা দেখা দেয়। হলুদ ইনফ্ল্যামেশন এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফলে ওজন কমাতে তা কাজে আসে।
২) হলুদ মেটাবলিক সিনড্রোম প্রতিহত করে
ওবেসিটির পেছনে মেটাবলিক সিনড্রোম আরও একটি কারণ। পেট ঘিরে মেদ জমলে মেটাবলিক সিনড্রোম দেখা দেয়। হলুদ চা পান করলে কোলেস্টোরেল, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ব্লাড সুগার কমে। ফলে মেদ জমতে পারে না।
৩) হলুদ হজমে সহায়তা করে
হজমে সমস্যা থাকলে ওজন বাড়তে দেখা যায়। অন্যদিকে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকলে ওজন কমানোটা সহজ হয়। গ্যাস, পেট ফাঁপার মতো সমস্যাগুলো কমায় হলুদ। তা হজম ত্বরান্বিত করে ফলে ওজন কমে।
৪) পিত্তরসের উৎপাদন বাড়ায়
নিয়মিত হলুদ চা পান করলে পরিপাকতন্ত্রে পিত্তরসের উৎপাদন বাড়ে। পিত্তরস সহজে খাবারের চর্বি গলিয়ে ফেলে এবং তা পোড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে চর্বি জমে না।
৫) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
রক্তে শর্করা বা সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ইনসুলিন রেজিসটেন্স প্রতিরোধ করে হলুদ চা। ফলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে পারে না।
কী করে তৈরি করবেন হলুদ চা?
উপকরণ
আধা চা চামচ হলুদ বাটা/গুঁড়ো
আধা চা চামচ আদা বাটা/কুচি
প্রণালি
সসপ্যানে কয়েক কাপ পানি দিয়ে এতে হলুদ ও আদা বাটা মিশিয়ে চুলায় দিন। পানি ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। এরপর চুলা বন্ধ করে দিন। ঠান্ডা হয়ে এলে ছেঁকে পান করুন। স্বাদ বাড়াতে এতে দারুচিনি, লেবু ও মধু মেশানো যায়।
ওজন কমাতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের পাশাপাশি হলুদ চা পান করতে পারেন।