পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটের লৌহজং টার্নিং এ তীব্র ঘূর্ণি স্রোত সৃষ্টি হয়ে ফেরিসহ নৌযান চলাচল মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। স্রোতের গতিবেগের সাথে উজানে নদী ভাঙ্গনের পলি পরে সৃষ্টি হয়েছে নাব্যতা সংকট।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার সন্ধ্যায় বিকল্প ওয়ান ওয়ে চ্যানেল চালু করা হয়েছে। ফেরিসহ নৌযান চলাচল করছে ওয়ান ওয়ে পদ্ধতিতে। এতে নৌপথের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার বেড়ে গেছে। এ কারণে পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীতে বন্যার পানি বৃদ্ধির গতিবেগ বাড়তে থাকে। এর সাথে উজানে তীব্র নদী ভাঙ্গনের ফলে ভেসে আসা পলিতে টার্নিংটিতে নাব্যতা সংকটের সৃষ্টি করে সরু হয়ে পড়েছে। এতে সব নৌযানের সাথে বিশেষ করে এ রুটের ৬টি ডাম্ব ফেরি চলাচল করছিল প্রায় দ্বিগুন সময় ও অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে স্রোতের প্রতিকূলে বিকল্প চ্যানেলে ৬ কিলোমিটার বাড়তি নৌপথ ঘুরে নৌযানগুলো চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট-এক ঘন্টা বেশি সময় লাগছে।
এতে বাড়তি সময়ের সাথে সাথে বাড়তি জ্বালানিও ব্যয় হচ্ছে। এরুটে ১৯টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও ২ শতাধিক স্পিডবোট চলাচল করে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ি ঘারটর সহকারী ম্যানেজার রুহুল আমি বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে নতুন চ্যানেল সৃষ্টি করা হয়েছে। তবে অন্য সময়ের তুলনায় এখন ফেরিতে বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে।