২০১৭–এর অক্টোবর মাসের কথা, ফিনল্যান্ডের সঙ্গে ড্র করার পর বিশ্বকাপ খেলতে পারবে কি না,
এ নিয়েই অনিশ্চয়তায় ক্রোয়েশিয়া। আর ঠিক সে সময়ই মদরিচদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন জ্লাতকো দালিচ। দালিচের কাঁধে তখন অনেক চাপ, ক্রোয়েশিয়াকে বিশ্বকাপ অবধি টেনে তুলতে পারবেন কি না,
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ঘুম হারাম হওয়ার দশা। বিশ্বকাপে উঠলে দলকে কত দূর নিয়ে যেতে পারবেন, সেই প্রশ্নও উঠেছিল। সেই দালিচ এখন বিশ্বকাপকে দেখছেন হাতছোঁয়া দূরত্বে।
বিশ্বকাপে মদরিচরা খুব অসাধারণ খেলে ফাইনালে এসেছেন তা নয়, গ্রুপ পর্বের উড়ন্ত সূচনার পর ফাইনাল পর্যন্ত আসতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। শেষ তিন ম্যাচই গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে। তবে এখন আর এ নিয়ে ভাবার সময় নেই, দল যে এখন ফাইনালে!
দলের এমন সাফল্য দালিচ নিজেও যেন বিশ্বাস করতে পারছেন না, ‘এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, আমি ক্রোয়েশিয়াকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। একটা সময় আমি এমন চিন্তাও করতে পারতাম না, সব সময়ের চাওয়া ছিল যেন একটা ভালো চাকরি পাই!’
কোচ হওয়ার পর তিনি কী এমন জাদুমন্তর করেছেন সাফল্য পেতে, সেটা খেলোয়াড়েরাই বলতে পারবেন। তবে ফাইনালের আগে খেলোয়াড়দের ওপর তেমন কোনো চাপ দিতে রাজি নন তিনি,
‘আমি ওদের বলব, তোমরা খেলাটা মজা নিয়ে খেলো, উপভোগ করো এ ফাইনাল। আমি চাই, ওরা যেন ম্যাচটা উপভোগ করতে পারে। আমি খুবই গর্বিত যে ওরা এ পর্যায়ে আসতে পেরেছে।’
দালিচের ভাগ্যও সুপ্রসন্ন। এমন এক সময়ে ক্রোয়েশিয়ান কোচ হয়েছেন যখন দলে মদরিচ, রাকিতিচ, মানজুকিচের মতো খেলোয়াড়েরা খেলছেন।
এমনও বলা হয়, এটাই ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে সেরা প্রজন্ম। দালিচ চান এ প্রজন্মকে যেন খালি হাতে ফিরতে না হয়, ‘ওদের ফুটবলীয় মেধা অসাধারণ। তবে এটাই খুব সম্ভবত ওদের কারও কারও শেষ বিশ্বকাপ। তাই প্রত্যেকেই চায় বিশ্বকাপের শেষটা যেন অসাধারণ কিছু হয়।’মস্কোতে আজ রাত ৯টায় শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে ক্রোয়েশিয়া। মদরিচরা পারবেন নিজেদের বিদায়ী উপহার বুঝে নিতে?