বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরীফুল ইসলাম ভুঁইয়া (৫৮) গত সাত দিন ধরে নিখোঁজ। তিনি অভিনেতা খাইরুল ইসলাম পাখির ভাই।
১১ জুলাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
শরীফুল ইসলাম নিখোঁজের ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় গত ১২ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন তার স্ত্রী লায়লা ইয়াসমিন।
জিডিতে লায়লা ইয়াসমিন উল্লেখ্য করেন, ‘আমার স্বামী শরিফুল ইসলাম, উচ্চতা পাঁচ ফুট সাড়ে তিন ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা, দেহের গঠন হালকা-পাতলা। তিনি বিসিকের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। গত ১১ জুলাই বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি বাসা থেকে বের হয়েছেন। সে সময় আমি আমার অফিসে কর্মরত ছিলাম। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তিনি লুঙ্গি, খয়েরি হাফ শার্ট এবং স্যান্ডেল পরা ছিলেন। তার সঙ্গে কোনো টাকা-পয়সা ও ফোন কিছুই নেই।’
জিডিতে স্ত্রী লায়লা আরও উল্লেখ্য করেন, ‘তিনি কিছুটা ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। এর আগেও গত ২২ মে এভাবেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পরের দিন ভোর ৬টায় বরিশাল থেকে তাকে উদ্ধার করেছিল পুলিশ।’
এই বিষয়ে নিখোঁজ শরিফুল ইসলামের স্ত্রী লায়লা ইয়াসমিন জানান, ১১ জুলাই শরীফুল ইসলামের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল। তিনি তাকে বাসায় রেখে নিজের অফিসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে স্বামীকে ফোন দেন কিন্তু ফোন রিসিভ না করায় তিনি অফিস ও বাসায় খুঁজতে যান। বাসায় গিয়ে দেখেন তাদের বাসায় তালা ঝোলানো। এরপর থেকেই নিখোঁজ তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হক জানান, শরীফুল ইসলাম নিখোঁজের ঘটনায় তার স্ত্রী একটি জিডি দায়ের করেছেন। তাকে খুঁজে পেতে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
অপরদিকে ভাইকে খুঁজে পেতে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট দিয়েছেন অভিনেতা খাইরুল ইসলাম পাখি।
সেই পোস্টে খাইরুল ইসলাম পাখি লিখেছেন, ‘আমার ভাই মো. শরীফুল ইসলাম ভুঞা, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থা (বিসিক)-এ মহাব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন, বয়স-৫৮, উচ্চতা ৫ ফুট ৩ .৫ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা, হালকা-পাতলা গড়ন, গত ১১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সকাল আনুমানিক ১১টায় বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। অদ্যাবধি উনাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যদি কোনো সহৃদয়বান ব্যক্তি উনার কোনো সন্ধান পান তবে যোগাযোগের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’