ভারতের দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কের বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অনিশা বাত্রা নামে এক বিমানবালার। তবে তার পরিবারের দাবি, অনিশা আত্মহত্যা করেননি। খুন করা হয়েছে তাকে।
১৩ জুলাই, শুক্রবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
অনিশা বাত্রার মৃত্যুর পর থেকেই স্বামী মায়াঙ্ক সিংভির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ১৫ জুলাই, সোমবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।
অনিশার বাবা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন, ‘অনিশার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকলে বুঝতে হবে তার দায় অনিশার স্বামী ও তার পরিবারের। কারণ যৌতুকের জন্য তাকে অত্যাচার করা হতো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনিশা একটি জার্মান এয়ারলাইন্সে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পর থেকেই এই দম্পতির নানা বিষয় নিয়ে সমস্যা চলে আসছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মায়াঙ্ক প্রায়ই অনিশাকে মারধর করত বলে অভিযোগ থাকলেও তিনি অত্যাচারের কথা স্বীকার করেননি। অনিশার মৃত্যুর দিনও স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে যৌতুকের টাকা না পাওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
মায়াঙ্ক জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তিনি মোবাইলে একটি বার্তা পান। যেখানে লেখা ছিল চরম পদক্ষেপ নিতে চলেছেন অনিশা।
এদিকে অনিশার ভাই করণ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তার মোবাইলে বোনের ফোন থেকে একটি ক্ষুদেবার্তা আসে। যেখানে লেখা ছিল অনিশাকে মায়াঙ্ক ঘরে বন্দি করে রেখেছেন। এ সময় অনিশা ভাইকে পুলিশের সাহায্য নিতে বলেন।
অনিশার পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, অনিশাকে খুন করা হয়েছে।