নারায়ণগঞ্জে আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যা মামলার প্রধান আসামি পিন্টুর সহযোগী বাপন ভৌমিক হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
১৬ জুলাই, মঙ্গলবার দুই দফায় সাদদিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাপন ভৌমিককে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমামের আদালতে হাজির করলে বাপন এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমাম বাপন ভৌমিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
প্রবীর হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মফিজুল ইসলাম জানিয়েছে, পিন্টুর সহযোগী বাপন ভৌমিকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, কীভাবে পিন্টু তার কর্মচারী বাপনকে দিয়ে কুমিল্লায় গিয়ে প্রবীরের মোবাইল থেকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানোর ঘটনা।
এর আগে ১৪ জুলাই শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের খাস কামড়ায় প্রবীর ঘোষ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পিন্ট দেবনাথ অপরাধ স্বীকার করে জাবানবন্দি দেয় কীভাবে প্রবীর ঘোষকে একাই হত্যা করে এবং সাত টুকরা করে সেপটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।
এরপর আরও তদন্তের জন্য পিন্টুর কর্মচারী ও প্রবীর হত্যাকাণ্ডে তার অন্যতম সহযোগী বাপন ভৌমিককে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আজ রিমান্ডের শেষ দিনে বাপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
১৮ জুন রাতে নিখোঁজ হন কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোঁজের ২১ দিন পর সোমবার (৯ জুলাই) রাত ১১টায় ঘাতক পিন্টুর দেয়া তথ্য মতে শহরের আমলাপাড়া এলাকার পিন্টু যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সেই বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের সাত টুকরা লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে প্রায় দেড় বছর আগে নিখোঁজ কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহার নিখোঁজের আসল রহস্য। স্বপন নিখোঁজ না বরং ব্যবসায়ীক দ্বন্দের জের ধরেই ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে পিন্টু দেবনাথের বাসায় বসে স্বপনকে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাসদাইর এলাকার রত্না রানী চক্রবর্তী ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মামুন মোল্লাকে গ্রেফতারের পর বেরিয়ে আসে ব্যাবসায়ী স্বপন কুমার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।