রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর এলাকার একটি বাড়িতে চালানো ‘গুপ্তধন’ উদ্ধার অভিযান পুলিশ শনিবার বিকেলে স্থগিত করে।
২১ জুলাই, শনিবার সকালে শুরু হওয়া এ অভিযান বিকেল পৌনে ৪টার দিকে স্থগিত করা হয়। এরপর প্রশাসন জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ দ্বারা বাড়িটির অবকাঠামো পরীক্ষা করার পর আবারও ২২ জুলাই, রবিবার খনন করা হবে। কিন্তু সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সেই বাড়িতে কোনো অভিযান শুরু হয়নি। বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থাতেই রয়েছে। আর বাড়ির সামনে পাহারা দিচ্ছে পুলিশ।
এই বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক আরিফ প্রিয়.কমকে বলেন, ‘দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান স্যার ওই বাড়িতে আসবেন। এরপর তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ শুরু হবে। তবে আপাতত ওই বাড়িতে পুলিশের সদস্যরা পাহারা দিচ্ছেন।’
এর আগে মিরপুর ১০ নম্বরের সি ব্লকের ১৬ নম্বর সড়কের ১৬ নম্বর বাড়িতে মাটির নিচে গুপ্তধন রয়েছে–এমনটা দাবি করে থানায় জিডি করেন বাড়িটির বর্তমান মালিক ও তার এক আত্মীয়। ২১ জুলাই, শনিবার বেলা ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িটিতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘রবিবার আবারও এই খনন কাজ শুরু হবে। সাড়ে চার ফুট খনন করার পরে বাড়িটির প্রাচীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় খনন কাজ চালানো ঝুঁকিপূর্ণ, তাই আজকের জন্য খননকাজ স্থগিত করা হলো।’
বাড়ির নিরাপত্তার বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বলেছিলেন, ‘বাড়িটি এখন পুলিশি হেফাজতে থাকবে। আগামীকাল আবারও খনন কাজ শুরু হবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে।’
এর আগে বাড়িটিতে ‘গুপ্তধনের’ সন্ধান বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহম্মেদ জানান, ১৯৭১ সালে এই বাড়িটি একটি জল্লাদখানার মতো ছিল। কয়েক দিন আগে এই বাড়ির সেই সময়ের মালিকের একজন আত্মীয় থানায় এসে একটি অভিযোগ করেন।
দুই পক্ষই বাড়িতে গুপ্তধন থাকার কথা জানিয়ে জিডি করায় পুলিশ বিষয়টি আদালত ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে জানায়। এরপর আদালতের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িটিতে খনন কাজ শুরু হয় বলে জানান ডিসি।