ঢাকায় পৌঁছেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেনের (রাজীব মীর) মরদেহ।
২২ জুলাই, রবিবার বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহবাহী ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করে।
সেখান থেকে রাজীব মীরের মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) মরদেহ নেওয়া হয়।
টিএসসিতে রাজীব মীরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খীরা।
২৩ জুলাই, সোমবার ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং পরানগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় জানাজা শেষে রাজীব মীরের দাফন সম্পন্ন হবে।
চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে গত ১৭ জুলাই রাতে রাজীব মীর হার্ট অ্যাটাক করেন। পরে তাকে চেন্নাইয়ের গ্লিনিগলস গ্লোবাল হেলথ সিটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
২০ জুলাই, শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৩৭ মিনিটে রাজীব মীরের লাইফ সাপোর্ট খুলে দিয়ে তাকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন। চলতি সপ্তাহে তার অপারেশন ও লিভার পরিবর্তনের কথা ছিল। অর্থ, ডোনারসহ সবকিছুই প্রস্তুত ছিল। কিন্তু অস্ত্রোপচারের সুযোগ পাওয়া যায়নি।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে রাজীব ছিলেন সবার বড়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন রাজীব মীর। এ ছাড়া তিনি একজন লেখক, গবেষক এবং বিভিন্ন মানবাধিকার আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
২০১৬ সালে সুমনা খানকে বিয়ে করেন রাজীব মীর। বিভোর নামের তাদের ১৫ মাস বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে।