ইহরাম অবস্থায় গোসল ফরজ হলে করণীয় কী?
ইহরাম অবস্থায় স্বপ্নযোগে বীর্যপাত ঘটার কারণে অথবা নারীগণ মাসিক ঋতুস্রাব থেকে মুক্ত হওয়ার কারণে গোসল আবশ্যক হলে গোসল করে নিবে। তবে অবশ্যই-
> ঘ্রাণযুক্ত প্রসাধনী যেমন সুগন্ধি সাবান, শ্যাম্পু ইত্যাদি থেকে বিরত থাকবে। কেননা ইহরাম অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করা নিষেধ।
> শরীর ও মাথা সাবধানে আলতোভাবে মর্দন করবে, যাতে চুল না ওঠে। চুল উঠলে সাদকা ওয়াজিব হবে। তবে আলতোভাবে মর্দনের সাথেও যদি কোনো আলগা চুল ঝড়ে পড়ে তাতে কোনো অসুবিধা নেই।
> গামছা, তোয়ালে বা কোনো কাপড় দ্বারা চেহারা মুছবে না। কেননা ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢাকা নিষেধ। চেহারা মুছতে থাকলে সাময়িকভাবে চেহারা ঢাকা পড়ে। এসব বিষয় খেয়ালে রেখে অবশ্যই গোসল সেরে নিবে।
ইহরাম অবস্থায় মাথা মাসেহ: ইহরামের নিয়তের পর মহিলাদের অজুতে মাথা মাসেহর পদ্ধতি কী? ইহরামের কাপড়ের ওপরেই মাসেহ করবে নাকি মাথা থেকে কাপড় সড়িয়ে মাসেহ করবে?
মাথা মাসেহ বিধানটি অজুর অন্যতম ফরজ। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ পাক সরাসারি মাথা মাসেহর আদেশ দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনের ভাষ্যে মানবীয় শরীরই উদ্দেশ্য সুতরাং কাপড়ের ওপর মাসেহ যথেষ্ট হবে না। বরং প্রকৃত মাথাই মাসেহ করতে হবে।
তবে অবশ্য যথেষ্ট সর্তকতার সাথে আলতোভাবে মাথা মাসেহ করবে যাতে চুল না ওঠে। যদি চুল ওঠে তাহলে সাদকা ওয়াজিব হবে। আলতো ভাবে মাসেহর পরও যদি আলগা চুল ঝড়ে পড়ে তাতে কোনো সমস্যা নেই।
মুহরিম ছাড়া হজ সফর: নেক এর বদলায় যেখানে গুনাহের সম্ভাবনা এমন সফরের কী মানে হতে পারে? এমন সফর থেকে বেঁচে থাকা উচিৎ।
কোনো বয়সের সীমা রেখা না দিয়ে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, মুসলিম নারীগণ যেন মুহরিম ছাড়া তিন দিন তিন রাত বা এর চেয়ে অধিক দূরত্বের পথ অতিক্রম না করে (আশংকাজনক হলে এর চেয়ে কম সফরও করতে পারবে না)।
হজের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মহান আল্লাহর তাআলার সন্তুষ্টি। আর তাই রাব্বুল আলামিনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করে তাঁর সন্তুষ্টি পাওয়া সম্ভব নয়।