ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর সকলেই আশা করেছিলেন টি-টোয়েন্টিতেও সেই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে। অথচ তার ছিটে ফোটাও দেখা মেলেনি প্রথম ম্যাচে। হেসেখেলে বাংলাদেশকে বৃষ্টি আইনে সাত উইকেটে পরাজিত করে ক্যারিবীয়রা। সেন্ট কিটসের ওয়ার্নারা পার্কের ছোট বাউন্ডারি, আর ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের পাশাপাশি টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিং সামর্থ্য বিবেচনায় প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সাকিব। কিন্তু দলের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন একেবারে বিপরীত।
তাই এ পরাজয়ে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।এমন পরাজয়ের কারণ বর্ণনা করতে গিয়ে অধিনায়ক সাকিব সাংবাদিকদের বলেন, ইনিংসের প্রথম দশ ওভারে পাঁচটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এটিই ম্যাচটি হারের মূল কারণ। তবে এ ম্যাচে হারলেও পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।
সাকিব বলেন, আমরা শুরুতেই উইকেট হারিয়েছি। এটা ছিল বড় সমস্যা। আমরা কখনোই মোমেন্টাম পাইনি। দশ ওভারে আমরা পাঁচটি উইকেট হারিয়েছি। এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সত্যিই অনেক কঠিন। বৃষ্টির জন্য অনেকটা সময় খেলা বন্ধ থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে ১১ ওভারে পায় ৯১ রানের লক্ষ্য। ১১ বল বাকি থাকতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সাকিব মনে করেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিস্ফোরক ব্যাটিং লাইন আপের সামনে সেটা কঠিন কোনও লক্ষ্য ছিল না। তারা (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) বেশ কয়েকজন কোয়ালিটি সম্পন্ন টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান পেয়েছে। তাদের রুখতে হলে আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করতে হবে। সিরিজে এখনও দুটি ম্যাচ বাকি। এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক বিষয়গুলো আমরা গ্রহণ করব এবং পরবর্তী ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আগামী ৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় ভোর ছয়টায় শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। ৬ আগস্ট একই ভেন্যুতে বাংলাদেশ সময় সকাল ছয়টায় শুরু হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ। এই ম্যাচের মাধ্যমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ শেষ করবে টাইগাররা।