বিমানবন্দর সড়কে দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় টানা পঞ্চম দিনের মতো সারাদেশে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। নিরাপদ সড়কের এই আন্দোলন দেশের গণমাধ্যমগুলোতে যেমন সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে, তেমনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও সাড়া ফেলেছে এটি।
ফরাসী সংবাদমাধ্যম এএফপির বরাত দিয়ে সিঙ্গাপুরের ইংরেজি দৈনিক স্ট্রেইট টাইমস বলছে, দ্রুতগতির একটি বাসের নিচে চাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থীরা প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। রাস্তা অবরোধ করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছে। পুলিশের লাঠিচার্জ এড়াতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ গুটিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
চীনের সরকারি সংবাদসংস্থা সিনহুয়া বলছে, চালকের বেপরোয়া গাড়ির নিচে চাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী ঢাকার রাস্তায় নেমেছেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে গত তিনদিনের মতো তারা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা ন্যায় বিচারের দাবিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস/ আমরা ন্যায় বিচার চাই’ স্লোগান দিচ্ছেন।
ভয়েস অব আমেরিকার এক খবরে বলা হয়েছে, ছাত্র বিক্ষোভে রাজধানী কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বাস চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতেই ছাত্ররা রাস্তায় নেমে আসে। অন্তত ২০টি পয়েন্টে ছাত্ররা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এ সময় দু’জন মন্ত্রী তোপের মুখে পড়েন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিন বলছে, বাস দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর জেরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ঢাকার রাজপথে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকার শাহবাগ, ধানমণ্ডি, সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, বনশ্রী, রামপুরা, খিলক্ষেত, ভাটারা, মিরপুর এলাকায়।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, ঢাকার রাস্তায় দল বেধে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকের পরনে স্কুলের ইউনিফর্ম। সকলের পিঠে স্কুলের ব্যাগ। দিনভর এই খুদেদের কাজকর্মে অস্তব্যস্ত হয়ে পড়ল ঢাকার জনজীবন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে বলছে, দুই শিক্ষার্থীর ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয়া চালকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় টানা বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। দেশটির বিমানবন্দর সড়কে রোববার বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটে। বিক্ষোভকারীরা সড়কে নিরাপত্তা ও হত্যার ন্যায়বিচার দাবি করছেন।