বৃহস্পতিবার থেকে মাঠে গড়িয়েছে ভারত-ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টি। এই ম্যাচে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে নামার কথা ছিল বেন স্টোকসেরও। কিন্তু সেই স্টোকস এখন ব্রিস্টলের ক্রাউন কোর্টের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টায় ব্যস্ত।
মামলার শুনানির শুরু থেকেই স্টোকস নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও পুলিশের রিপোর্ট আর সরকারি আইনজীবীদের বক্তব্যে এই ইংলিশ ক্রিকেটারকে দোষীই সাব্যস্ত করা হয়েছে। নাইট ক্লাবের বাইরে সেই ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্য, স্টোকস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় ছিলেন এবং প্রতিশোধের মানসিকতা নিয়েই আক্রমণ করেছিলেন।
শুধু তাই নয়, দুই সেনাকর্মী রায়ান হেল ও রায়ান আলি; যারা গত বছর নাইট ক্লাবের বাইরে স্টোকসের হাতে নিগৃহীত হয়েছিলেন তারা স্টোকসকেই দায়ী করছেন ওই ঘটনার জন্য। এক সাক্ষাৎকারে সাবেক সেনাকর্মী রায়ান হেল অভিযোগ করেছিলেন, সেই রাতে স্টোকস তাকে খুনও করতে পারতেন।
শুনানি শেষে এমনটা প্রমাণিত হলে বিপাকেই পরবেন বেন স্টোকস। কমপক্ষে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার।
মামলার প্রথম দিনের শুনানিতে বলা হয়, স্টোকস ও তার জাতীয় দলের সতীর্থ অ্যালেক্স হেলস নাইট ক্লাব ছেড়ে গিয়েছিলেন রাত পৌনে ১টায়। তারপর আবারও ফিরে আসেন ২টার পর। কিন্তু ততক্ষণে ক্লাব বন্ধ। স্টোকস জোর করে ঢুকতে চাইলে তাকে কর্মকর্তারা বোঝান, আপাতত ক্লাব বন্ধ।
সেখানকার বাউন্সার (রক্ষী) ছিলেন দুজন। তাদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন স্টোকস। সেই দুই বাউন্সারের একজন অ্যান্ড্রু কানিংহামের অভিযোগ, তাকে অপমান করেছেন স্টোকস। পরে এক সমকামী দম্পতির দিকে নজর যায় বেন স্টোকসের। তাদের ব্যঙ্গ করতে থাকেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার।
যদিও স্টোকসের দাবি, ওই সমকামী প্রেমিক যুগলকে হেনস্থা করছিলেন সেনাকর্মীরাই। তাই তিনি মেজাজ হারিয়ে এই কাজ করেছিলেন। এ নিয়ে আদালতে স্টোকস বলেছিলেন, ‘আমরা যখন আবার সেখানে গেলাম, দেখলাম ওই দুই রক্ষী এক সমকামী দম্পতিকে বাজে ভাষায় আক্রমণ করছে। তখন আমি এগিয়ে যেয়ে তাদের বলি, এমনটা না করতে। আমি আলিকে (রক্ষী) বলেছি, ওকে সরে যেতে। কিন্তু উল্টো তারা আমার দিকে এগিয়ে আসায় আমি আত্মরক্ষার্থে তাদের গায়ে হাত তুলি।’
যদিও এর জবাবে রায়ান হেল বলেছেন, সেখানে কোনো আত্মরক্ষার প্রশ্নই আসেনি এবং স্টোকসও কোনো আত্মরক্ষা করেনি।