মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পাচারের সময় ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়া নাফ নদীসংলগ্ন রহমানের মৎস্যখামার এলাকা থেকে ইয়াবাগুলো জব্দ করা হয়।
এর মূল্য আনুমানিক ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
প্রথম আলোকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
বিজিবি সূত্র জানায়, নাফ নদী দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আনা হবে বলে তথ্য পায় বিজিবি। এই সূত্র ধরে টেকনাফ সদরে নাজিরপাড়ার সীমান্তচৌকির হাবিলদার মো. আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টহল দল নাফ নদীসংলগ্ন রহমানের মৎস্যখামার এলাকায় অভিযানে যায়। দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ১০-১২ জন লোককে একটি বস্তা নিয়ে আসতে দেখে বিজিবির টহল দলের সন্দেহ হলে তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। পাচারকারীরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বস্তাটি ফেলে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় তাদের ধাওয়া করেও কাউকে আটকাতে পারেননি বিজিবির সদস্যরা। পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া বস্তার ভেতর ইয়াবা পাওয়া যায়। বিজিবি সেগুলো গণনা করে দেখে ৩ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা। এর আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জব্দ করা ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বেসামরিক প্রশাসন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সেগুলো ধ্বংস করা হবে।