মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বক্তব্য এবং মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে ঢাকার একটি মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমএ কামরুল হাসান খান আসলাম। খালেদার আইনজীবীরা জানান, গত ৭ই আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত এ মামলায় জামিন নামঞ্জুর করলে সোমবার হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়।
আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২১শে ডিসেম্বর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের এক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় এবং মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ই জানুয়ারি ঢাকার হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী।একই ঘটনায় নড়াইলে দায়ের করা মামলায় গত ৫ই আগস্ট নড়াইলের বিচারিক আদালত খালেদার জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে একই বেঞ্চ শুনানি নিয়ে সোমবার এক আদেশে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালিন জামিন দেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ই ফেব্রুয়ারি এক রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর ও অন্য আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। রায়ের পর থেকে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় তিনি জামিন পেলেও অন্য মামলায় জামিন না পাওয়ায় তিনি মুক্তি পাচ্ছেন না।