পদ্মায় তীব্র স্রোতে কারণে ব্যহত হচ্ছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচল। ফলে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন । স্রোতের বিপরীতে একেকটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে যেতে সময় লাগছে প্রায় দেড় ঘন্টা।
সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে জানান, পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া নৌ পথের দুরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। আর স্রোতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এ রুটের বেশির ভাগ ফেরি চলাচলের মতো শক্তি না থাকায় ফেরী অত্যন্ত ধীর গতিতে চালাতে হচ্ছে। এতে ফেরির ট্রিপ সংখ্যও কমে যাচ্ছে।ফলে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী বহনকারী যানবাহন পাটুরিয়া ঘাটে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে বসে থাকছে যানবাহনগুলো।
পাটুরিয়া ঘাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তির দৃশ্য। ঘন্টার পর ঘন্টা মানুষ বহনকারী বাস-কোচ, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার গুলো সারি সারি ভাবে অপেক্ষা করছে পাটুরিয়া ঘাটে। আর দুই-তিন দিন ধরে ফেরি পারারের অপেক্ষায় ঘাটে আটকে আছে প্রায় ৩ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। ১১টি বড় ফেরি এবং ৯টি ছোট ও মাঝারী ফেরি দিয়ে পারাপার করা হচ্ছে যানবাহন। কিন্ত ফেরি পর্যাপ্ত থাকলেও পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি গুলো তার স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে না পারায় ফেরি ট্রিপ সংখ্যাও গেছে। এতে করে পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের চাপ বেশী পড়ে যাওয়ায় দেখা দিচ্ছে যানজট আর দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহনের চাপ অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়তে থাকায় পাটুরিয়া ফেরিঘাট থেকে যাত্রী বহনকারী বাস,কোচ,মাইক্রো,প্রাইভেটকারের পৃথক লম্বা লাইন ছড়িযে গেছে ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার পর্যন্ত।এতে সবচেয়ে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন শিশু,বয়স্ক মানুষ এবং নারী যাত্রীরা। লাইনে রয়েছে গরু বহনকারী ট্রাকগুলোও।
বিআইডব্লিউটিসির আরিচা সেক্টরের এজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পদ্মায় তীব্র স্রোত আর শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্য সংকটের প্রভাবে পাটুরিয়ায় অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ পড়েছে। ফেরির কোনো সঙ্কট নেই। ২০টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। নদী শান্ত থাকলে এবং অন্য রুটের গাড়ি এখান দিয়ে পারাপার না হলে পাটুরিয়া ঘাটের পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকতো। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস পারাপার করায় ঘাট এলাকায় ট্রাক গুলো সাময়িক আটকা রয়েছে। আর ছোট গাড়ির চাপ বড় গাড়ির থেকে অনেক বেশি।