ভাদ্র মাসের শুরুতে প্রচন্ড তাপপ্রবাহের কারণে সারা দেশে অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হয়। তবে সাগরে লঘুচাপ শুরু হওয়ায় সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির দেখা মিলেছে। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে- এই বৃষ্টি চলতে পারে পুরো সপ্তাহ জুড়ে। অর্থাৎ ঈদের দিনও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়াবিদ আবদুল মল্লিক মানবজমিনকে বলেন- সাগরে লঘুচাপ শুরু হয়েছে।এর প্রভাবে সোমবার থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়ে গেছে। চলতি সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই থেকে থেকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। অর্থাৎ ঈদুল আজহার দিনও সারা দেশে বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গতকাল ঢাকায় ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবারও একই রকম তাপমাত্রা থাকতে পারে।
একই সঙ্গে রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০ মি. মি.। এছাড়া, সোমবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ মঙ্গলবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গতকালের লঘুচাপটি বর্তমানে উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। মৌসুমী অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় বিরাজমান রয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ঢাকায় বাতাসের গতি দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কি.মি.। গতকাল সকালে ঢাকায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৩ শতাংশ।
এদিকে সাগরে লঘুচাপ থাকায় ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।