লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলাতে মুদ্রাস্ফীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একটি দুই কেজি চারশো গ্রাম ওজনের মুরগি কিনতে গুনতে হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা সেখানকার মুদ্রায়। ভেনিজুয়েলার মুদ্রাকে বলা হয় বলিভার।
পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ২০ আগস্ট থেকে নোট শেষ পাঁচটি শূন্য বাদ দিয়েছেন । এক লাখ বলিভারের নোট রাতারাতি বদলে গিয়েছে ১ বলিভারে হয়েছে । কিন্তু তাতেও মুদ্রাস্ফীতি কম মনে হলেও অর্থনীতির ছবি বিন্দুমাত্র বদলায়নি।
লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে অর্থনীতির প্রচণ্ড খারাপ অবস্থা অনেক দিন ধরেই । অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়েছে যে এক রোল টয়লেট পেপারের দাম পৌঁছেছে ২৬ লাখ বলিভারে।আলু থেকে গাড়ি— সবই অগ্নিমূল্য। প্রতিনিয়ত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।
বিশ্লেষকরা ভেনিজুয়েলার অর্থনীতির বেহাল দশার সাথে তুলনা করেছেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯২২ সালে বিধ্বস্ত জার্মান অর্থনীতিকে। তখন জার্মানিতে মুদ্রাস্ফীতির কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম এতোটাই বেড়েছিল এক টুকরা পাঁউরুটি কিনতে ঠেলাগাড়ি করে নিয়ে যেতে হত জার্মান মুদ্রা মার্কের বান্ডিল। কম মূল্যমানের মুদ্রা জড়ো করে পুড়িয়ে আগুন পোহাতো রাস্তাঘাটে জার্মানরা। ১৯২৩ সাল নাগাদ ১ ডলারের দাম পৌঁছেছিল ৪ লক্ষ ২১ হাজার কোটি মার্কে।
ভেনিজুয়েলার অর্থনীতি তেল নির্ভর। অশোধিত তেলের দাম বিশ্ব বাজারে পড়ে যাওয়ার কারণে সমস্যা শুরু হয় । সেই সাথে সরকার তেল নির্ভর ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার পরে সমস্যা বেড়েছে।