অব্যাহত পদ্মার ভাঙনে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় এক সপ্তাহে ২শ’ বছরের পুরনো মূলফৎগঞ্জ বাজারের ৩ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে বাজারের আরও ৯ শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট নড়িয়া উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল ও বাজার সংলগ্ন লস্কর বাড়ি এবং পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদ।
ইতোমধ্যে হাসপাতালের মালামাল সরিয়ে অন্যত্র নেয়া হয়েছে এবং হাসপাতালের রোগীদের পাশের একটি ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে। শরীয়তপুর পল্লীবিদ্যুৎ এর খুঁটি সরিয়ে নেয়ায় অন্ধকারে রয়েছে বাজারের একাংশ, হাসপাতালসহ আশপাশের এলাকা।
এদিকে কোনও কাজেই আসেনি সরকারের পদ্মা পাড়ে ফেলানো পাঁচ কোটি টাকার জিওব্যাগ। প্রতিদিনই বিলাস বহুল বাড়ি-ঘরসহ শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাওয়ায় পদ্মার পাড়ে চলছে আহাজারি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর নড়িয়া উপজেলার প্রায় ৪ হাজার পরিবারের বাড়িঘর, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, মসজিদ, স্কুল, বাজার ও শতশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাক্ষসী পদ্মা গ্রাস করে নিয়েছে। ভাঙন কবলিতরা একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পদ্মার তীরবর্তী লোকজনের চোখে কোন ঘুম নেই। তারা দিন রাত তাদের সর্বশেষ সম্বল সরিয়ে নিতে প্রাণপণ চেষ্টা করলেও কোন লাভ হচ্ছে না।