রাশিয়া, ইরান এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনার জন্য তেহরানে এক সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন। সব পক্ষেরই চোখ বিদ্রোহী অধ্যুষিত ইদলিবে, যেখানে সরকার বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। আজ শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিন, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের এ শীর্ষসম্মেলনে কূটনৈতিকভাবে সামরিক পদক্ষেপ সামরিকভাবে স্থগিত রাখার বিষয়টি সম্ভবত নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
এদিকে সিরিয়ার সরকার ইদলিবকে পুর্নদখলের প্রতিজ্ঞা নিয়েছে যেটা ২০১৫ সাল থেকে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইদলিব প্রদেশের উত্তরাঞ্চল এবং আশপাশের এলাকায় প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষের বাস, যাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক বেসামরিক বাসিন্দা। তারা সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চল থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে।
সিরিয়ায় ইরান, রাশিয়া এবং তুরস্কের স্ব স্ব প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক স্বার্থ রয়েছে। রাশিয়া এবং ইরান সিরিয়ার সরকার বাহিনীর প্রধান মিত্র।অপরদিকে আংকারা বিদ্রোহীদের সমর্থন করে। সম্মেলনের আগের দিন ইদলিবে রাশিয়ার করা বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক এবং এ আক্রমনাত্মক ঘটনা মানবিক বিপর্যয় বলে সতর্ক করেছে।
অপরদিকে, সিরিয়ান সরকার এবং মিত্র বাহিনী ইদলিবের কাছেই অস্ত্র জমানো শুরু করেছে চুড়ান্ত আক্রমনের উদ্দেশ্যে।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত স্টাফান ডি মিস্তুরা গত সপ্তাহে সিরিয়া সরকারকে সতর্ক করেছে যে, ১০ হাজার আল-কায়েদা বাহিনীর যোদ্ধাদের উপর আক্রমণের জন্য এমন কোনো হামলা করা ঠিক হবে না যেটা বেসামরিক বাসিন্দাদের জীবনের হানি ঘটায়।
গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন, ইদলিব নির্মম পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যদি এসব জায়গায় ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়, তাহলে বিশাল হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটবে। এসময় আজ শুক্রবারের সম্মেলন এসব সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স বলেছে, সিরিয়ান সরকার বাহিনী বিদ্রোহীদের উপর রাসায়নিক হামলা চালালে, তারাও সিরিয়ার হামলা চালাতে প্রস্তুত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤প ইদলিবে ব্যপক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সিরিয়া সরকারকে সতর্ক করেছেন।
গত বুধবার ট্রা¤প জানান, যদি এ হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকে, তাহলে সারাবিশ্বের সাথে আমেরিকাও অসন্তুষ্ট হবে। তারা বিচক্ষণ ও সতর্ক হবে বলে আশা করছি।
প্রসঙ্গত, এর আগে রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের এক সম্মেলনে সিরিয়ার ইদলিবে একটি তথকথিত ডি-এসকেলেশন জোন প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এই ডি-এসকেলেশন জোন শুধুমাত্র নামেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।