নেপালের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩৪ মিনিটে গোল হজম করে বাংলাদেশ। নেপালিজদের হয়ে গোলটি করেন বিমাল গারতি নাগার। এর আগে দুই ম্যাচ জিতেও সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারেনি স্বাগতিক বাংলাদেশ। ভুটানকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছে পাকিস্তান। এখন বাংলাদেশকে সেমিফাইনাল খেলতে হলে হারলে চলবে না নেপাল ম্যাচে। জিতলেতো কথায়ই নেই।
তবে হারলে আছে নানা হিসাব নিকাশ। গ্রুপের চার দলের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই জিতেছে ২ ম্যাচ।অন্যদের মধ্যে পাকিস্তান তিন ম্যাচে দুটি এবং নেপাল জিতেছে একটি ম্যাচে। চার দলের এই গ্রুপে তিন হারে বিদায় নিয়েছে ভুটান। এ কারনে ভুটানের জালে দেয়া গোল হিসাবে আসবে না কোনো দলের। সেক্ষেত্রে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের গোল +১, পাকিস্তানেরও +0। কারন নেপালের বিপক্ষে তারা ২-১ গোলে জিতলেও বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ১ গোলে। নেপালের গোলও -১। এখন বাংলাদেশ যদি নেপালের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় সেক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গী হবে তারা। ২-০ গোলে হারলেও একই অবস্থা হবে স্বাগতিকদের। তবে হারের ব্যবধানটা যদি ২-৩, ৩-৪ হয় সেক্ষেত্রে গোলের ব্যবধানের ম্যারপ্যাচে বিদায় নিবে পাকিস্তান। সেমিতে নেপালের সঙ্গী হবে বাংলাদেশ।
এদিকে নেপালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে পাকিস্তানের ম্যাচের একাদশই বেশে নিয়েছেন কোচ জেমি ডে। বাংলাদেশের একাদশ: শহিদুল আলম সোহেল (গোলরক্ষক); ডিফেন্ডার: বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মণ, টুটুল হোসেন, ওয়ালি ফয়সাল; মাঝমাঠ: জামাল ভূঁইয়া, মামুনুল ইসলাম মামুন, মাসুক মিয়া জনি ; আক্রমণভাগ: মাহবুবুর রহমান সুফিল, বিপলু আহমেদ ও সাদউদ্দিন।