পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার পর প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এখনও চার ও পাঁচতলার বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বলছে। দমকল বাহিনীর ডিজি জগমোহন জানিয়েছেন, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও সময় লাগবে। খবর আনন্দবাজারের।
শনিবার রাত ২টার দিকে বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগে। তারপর থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। রোববার পুরোদিন এবং রাতেও দমকলকর্মীরা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হয়। আজ সোমবারও আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।
বাগড়ি মার্কেটে আগুন লাগার পর সেটি নেভানোর পাশাপাশি, ভবনটির ধসে পড়া ঢেকাতে পানি ছিটিয়ে ঠাণ্ডা রাখার প্রচেষ্টাও অব্যাহত আছে। এছাড়া ভবনের কোনও অংশ আগুন দেখা গেলেই সেই দিকে হোস পাইপ ঘুরিয়ে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
এখন দমকলকর্মীরা চার ও পাঁচতলার আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। এই দুটি তলা থেকে এখনও মাঝে মধ্যেই আগুনের শিখা বেরিয়ে আসছে। বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে আগুন। কখনও বাইরেও ভয়ঙ্করভাবে আগুন বেরিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে। সেইসঙ্গে ভেতরেও বিভিন্ন পকেটে আগুন রয়েছে বলে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।
আপাতত বাগড়ি মার্কেটের এক, দুই ও তিনতলার আগুন নিয়ন্ত্রণে। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, এই তিনটি তলায় আপাতত বড় কোনও আগুনের উৎস নেই। তবু কাজ করছেন তারা। খোঁজ চলছে আরও কোথায় আগুন রয়েছে কিনা।
দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, রাতে তারা আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন। এমনকি সোমবার সকালে বাড়ির ছাদে পর্যন্ত উঠে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু চার ও পাঁচতলা থেকে মাঝে মধ্যেই আগুনের শিখা বেরিয়ে আসায় কিছুক্ষণ পরই নেমে যেতে বাধ্য হন দমকলকর্মীরা।
এদিকে পূজার আগে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কার্যত সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে বাগড়ি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। দোকানের জিনিসপত্রের তেমন কিছুই অবশিষ্ট নেই। তারপরও যেটুকু বাঁচানো যায়, সেটির চেষ্টা করছেন তারা।
অন্যদিকে মাত্র দুই মাস আগেই বাগড়ি মার্কেটকে সাময়িক ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছিল কলকাতা পৌরসভা। এক বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত অগ্নিসুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এমন শর্তে তাদের ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের পর পৌরসভার সেই সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।