২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ই অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। পুরান ঢাকার নাজিমউদিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগারের পাশে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে আজ মামলার সবশেষ ধাপ যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। আজ বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে আদালতের কার্যক্রম শুরুর পর আসামিপক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান আদালতে আইনি পয়েন্টে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। কারাগারে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ আসামিকে আজ শুনানির সময় আদালতে হাজির করা হয়। এ ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদাসহ জামিনে থাকা ৮ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
এ মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত ৫১১ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। গত বছরের ৩০শে মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দকে জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। এ মামলায় মোট ৫২ আসামি থাকলেও অন্য মামলায় জামায়াতের সাবেক নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, শীর্ষ জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল বিপুলের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় মামলার আসামি সংখ্যা এখন ৪৯ জন।আসামিদের মধ্যে ৮ জন জামিনে, ১৮ জন পলাতক ও ২৩ জন কারাগারে রয়েছেন।
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা ঘটে। এ ঘটনায় মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ দলের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। তবে, তিনিসহ দলের প্রায় ৫শ নেতাকর্মী আহত হন।