রাজধানীতে তীব্র গরমের মধ্যে বেড়েছে লোডশেডিং। কোথাও কোথাও দিনে ২ থেকে ৫ বার লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর শান্তিনগর, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১, উত্তরা এলাকায় দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। এতে মানুষকে তীব্র গরমের মধ্যে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এসব এলাকার ভুক্তভোগীরা বলছেন, দিন ও রাত মিলে একাধিকবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। এতে করে রাতের বেলায় বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি এতে ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার কাজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
উত্তরার তামিম রহমান জানান, দিনে অন্তত দুই থেকে তিন বার লোডশেডিং হচ্ছে। রাতে আবারও দুই একবার। এসময় চরম অশান্তিতে ভুগতে হয়।
রাজধানীর বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা মাজহার উদ্দিন স্বদেশনিউজ24 অনলাইনকে বলেন, আমরা ডিপিডিসির আওতায়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এ রাতে ২/৩ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ থাকে না। প্রায় প্রতিদিনই এমনটি হচ্ছে। গত বুধবারও রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিদ্যুত ছিল না। এরপর এক পলক এসে আবারও প্রায় এক ঘণ্টা বিদ্যুত নেই। এক রাতে ৪ থেকে ৫ বার লোডশেডিং।
প্রায় একই অভিযোগ তুলেন পশ্চিম রামপুরার ডিপিডিসির আরেক গ্রাহক আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, গভীর রাতে বিদ্যুৎ গেলে বেশি ভোগান্তি হয়। শুধু মুখে শুনি, বিদ্যুতে রেকর্ড, লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাচ্ছে ….। কিন্তু সেই বিদ্যুত কোথায়?
তিনি বলেন, আসলে বিদ্যুৎ না থাকলে শিশু বাচ্চা নিয়ে এই গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এখানে মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদন নাকি বিতরণে শুভংকরের ফাঁকি তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমরা তো টাকা দেবো, তাহলে কেন এই ভোগান্তি নেব? এটা সহ্য করার মতো না।
তবে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো বলছে গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। রাজধানীতে বিদ্যুতের কোনও ঘাটতি নেই।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, গত সপ্তাহে বনশ্রী-তালতলা রামপুরা ওয়াপদা রোডে অবস্থিত ১৩২ কেভি উলন পাওয়ার স্টেশন থেকে কাভার হয়ে থাকে। স্টেশনটিতে হঠাৎ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণেই ওই এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। তাছাড়া অন্য কোনও সমস্যা ছিল না।
“বিদ্যুৎ লাইন ও ট্রান্সফরমারে হঠাৎ কারিগরি ত্রুটি হওয়ার কারণে কোথাও কোথাও এ ধরনের সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব তার সমাধানের চেষ্টা করছি।”