রুশ সীমান্তে যুক্তরাষ্ট্রের জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষায় ৭৩ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এ বিষয়ে ওয়াশিংটনকে সাবধান করে দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া দাবি করেছে, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র জর্জিয়াতে জীবাণু অস্ত্রের পরীক্ষাগারে নিহতের এ ঘটনা ঘটে। বৃহ¯পতিবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে এ দাবি করে। দেশটির কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে এ ধরনের কার্যক্রম সহ্য করা হবে না। রাশিয়া সীমান্তে এ ধরণের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছি দেশটি। রুশ বার্তা সংস্থা তাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ইগোর কিরিল্লোভ বলেছেন, জর্জিয়ার অ্যালেক্সেইয়েভকা উপশহরের একটি পাবলিক হেলথ রিসার্চ সেন্টারে রাসায়নিক অস্ত্রের একটি গোপন ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের ভয়ঙ্কর অস্ত্র কেন হেলথ রিসার্চ সেন্টারে রাখা হবে? আমরা এ ব্যাপারে জর্জিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুস্পষ্ট জবাব চাই।তিনি আরো বলেন, ওই হেলথ সেন্টারে চিকিৎসা নেয়া বেশ কয়েকজন রোগী সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র নিয়ে গবেষণা করতে দেখেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সেখানে হালকা ক্ষমতাসম্পন্ন বিষাক্ত ক্যাপসুল তৈরির চেষ্টা করছে। এসময় তিনি জানান, এগুলোর ধ্বংস ক্ষমতা কম হলেও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যকে ঘায়েল করা সম্ভব। রাশিয়ার পাশাপাশি চীন সীমান্তেও এই নিষিদ্ধ অস্ত্রের বেশ কয়েকটি গবেষণাগার স্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র বলেও দাবি করেছেন তিনি।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ড যখন রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাকে বিশ্বজুরে সাইবার আক্রমনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে তখনই রাশিয়া এ দাবি করলো। তবে, এ দাবিকে অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। পেন্টাগনের মুখপাত্র এরিক পাহন এ বলেন, পশ্চিমের বিরুদ্ধে রাশিয়ার এ অভিযোগ মিথ্যা ও কল্পনা প্রসুত। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাশিয়ার সন্ত্রাসের থেকে চোখ সরাতেই এ দাবি করা হয়েছে। তিনি বলেন, জর্জিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরণের জীবাণু অস্ত্র তৈরি করছে না। ওই ল্যাব জর্জিয়া সরকার পরিচালনা করে, যুক্তরাষ্ট্রের এখানে কোনো হাত থাকা সম্ভব নয়। এসময় সিরিয়ায় জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য তিনি রাশিয়ার সমালোচনা করেন। তিনি আরো জানান, এটিই প্রথমবার নয় যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা দাবি তুলেছে রাশিয়া। কিন্তু ওয়াশিংটন বরাবরই তাদের এসব দাবিকে হাস্যকর প্রমাণ করেছে।