লোকে এখন ধানের শীষকে সাপের বিষ মনে করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এটা আমার কথা না। কালকেও গাড়ি দিয়ে যাচ্ছিলাম, একজন বলেই দিল ধানের শীষ সাপের বিষ। এই বিষ এখন আর কেউ পান করবে না। রাজধানীর গাবতলীতে আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী নির্বাচনী গণসংযোগের পঞ্চম দিনে দলের প্রচারে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এটা ২০১৪ সালের নির্বাচন না। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশে কোনো নাশকতা করলে তার উচিত জবাব দেবে জনগণ। তারা সোজা পথ দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় এটা মনে করার কোনো কারণ নাই।তারা বুঝে গেছে সোজা পথে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। জনগণ এখন আর তাদের চায় না।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম (ইভিএম) ব্যবহার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ চায় সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহার হোক। নির্বাচনে যেন জালিয়াতি, কারচুপি না হয়। আবার কেউ যেন জাল ভোট দিয়ে বাক্সভর্তি করতে না পারে সেজন্যই ইভিএম। আধুনিক বিশ্বের একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থার অনুষঙ্গ ইভিএম। মন্ত্রী বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন বিলটি দশম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে পাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন যদি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পাঠাতে পারে, তাহলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন বিলটি সংসদের আগামী অধিবেশনে পাস হবে। তিনি বলেন, শেষ অধিবেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আসবে। তবে অধিবেশন খুবই সংক্ষিপ্ত। শেষ অধিবেশন এক সপ্তাহের মতো হতে পারে। এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থাকবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দি খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা নয় বিএনপিই রাজনীতি করছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ উপযুক্ত জায়গা, আদালতও সেটি বলেছে। তাহলে সরকারের ভুল কোথায়? বাম দলের সঙ্গে ঐক্যের বিষয়ে নিয়ে তিনি বলেন, আমি কোনো জোটকে নির্বাচনে আমাদের সঙ্গে ঐক্য করতে বলিনি। আমি বলেছি, বামপন্থিরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে। জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা করে। বামপন্থিদের ভেতরে কেন এত ভাঙনের সুর। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন। তাদের আমাদের সঙ্গে ঐক্য করতে আমি বলিনি। আমরা ঐক্য চেয়েছি সামপ্রদায়িক অপশক্তি, নষ্ট রাজনীতি ও স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খানের সঞ্চালনায় গণসংযোগে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।