একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কার্যকর বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা ও ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নির্ধারণে বৈঠক করেছেন বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতৃবৃন্দ। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে এক মঞ্চে আন্দোলন ও কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তের পর নতুন এই জোটের ঘোষণাপত্র, অভিন্ন লক্ষ্য নির্মধারণ, ক্ষমতার ভারসাম্য নিয়ে তারা এ বৈঠক করেন।
রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসভবনে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটা থেকে দুই ঘন্টার বৈঠক করেন নেতারা। এসময়ে তারা বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য মতায় আসতে পারলে রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের অভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করেন। এতে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমন্বিত ৯ দফা লক্ষ্য ও বিএনপি ঘোষিত ১২ দফা লক্ষ্য নিয়ে তারা চুলচেরা বিশ্লেষন করেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দাবি ও অভিন্ন লক্ষ্য গুলো চূড়ান্ত করতে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। আগামী দুইদিনের মধ্যে তারা এটার খসড়া চূড়ান্ত করবেন। আগামী ১১ই অক্টোবর সন্ধ্যায় গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় পরবর্তী বৈঠকে এটা চূড়ান্ত হবে। সে বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট সভাপতি প্রফেসর ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষ নেতারা অংশ নেবেন।
এদিকে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।তবে এখন সেইসব বিষয়ে বলা যাবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া এবং বিএনপি ঐক্যমতে পৌছেছে। শীঘ্রই আমরা আমাদের লক্ষ্য এবং কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
উত্তরার বৈঠকে আসম আবদুর রব বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ, আবম মোস্তফা আমিন, নাগরিক ঐক্যের প্রধান উপদেষ্টা এস এম আকরাম, প্রধান সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।