কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটায় ডোবা থেকে এক নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ জননী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ইসলাম ও ফরিদুল ইসলাম নামের দুইজনকে আটক করেছে কচাকাটা থানা পুলিশ। শহিদুল ইসলাম কচাকাটা ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামের অছিয়ত আলীর ছেলে এবং ফরিদুল বল্লভেরখাস ইউনিয়নের চর রহমানের কুটি গ্রামের মালেক শিকদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকালে কচাকাটা ইউনিয়নের সরকারটারী গ্রামের একটি ডোবায় নবজাতকের মরদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। পরে জানাজানি হয় কচাকাটার জননী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে এক কুমারী মাতার এ্যাবারশন করে নবজাতককে ফেলে দেয়া হয়েছে। পরে এলাকাবাসী ক্লিনিক মালিক শহিদুল ইসলাম ও কুমারী মাতার ফুপা ফরিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এর আগেই কুমারী মা সেখান থেকে গোপনে চলে যায়। পরে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে ৭ মাসের নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ জননী ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের মালিক শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজবাড়িতে অবৈধ গর্ভপাতের বাণিজ্য করে আসছে। শহিদুলের কোন ডাক্তারী সনদ নেই।
কুমারী মাতা একই থানার বলদিয়া ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।
কচাকাটা থানার ওসি ফারুক খলিল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।