জামালপুর প্রতিনিধি : ইসলামপুরে যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাঁধের মোরাদাবাদের শশারিয়া বাড়ী অংশে ৪০ মিটার ধ্বসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধায় বাঁধে ধ্বস দেখা দেয়ায় যমুনাপাড়ের মানুষজনের মধ্যে ভাঙ্গন আতংক দেখা দিয়েছে। তারা দ্রুত বাধঁ সংস্কারের দাবী জানিয়েছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানায়, নদী ভাঙনের হাত থেকে যমুনাপাড়ের জনপদ রক্ষায় ৪’শ ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেওয়ানগঞ্জ ফুটানী বাজার থেকে মাদারগঞ্জের সীমানা পর্যন্ত যমুনার বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প নামে ১টি তীর সংরক্ষণ বাধঁ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এলাকাবাসীর অভিযোগ,যমুনার তীর সংরক্ষন বাঁধ প্রকল্পের নিন্মমানের কাজ ও বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে প্রভাবশালী বালু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন করায় বাধেঁর একধিক স্থানে ধ্বসে পড়েছে ইতোপুর্বে। বাঁধের পাথর্শীর মোরাদাবাদ অংশে ৩টি স্থানে প্রায় সাড়ে ৩’শ মিটার এবং উলিয়াবাজার অংশে ৩০ মিটার বিলীন হয়েছে। ফলে যমুনার পানির তীব্র ¯্রােতে দফায় দফায় ভাঙনে দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার সরকারি বেসরকারি স্থাপনা, হাটবাজার, রাস্তাঘাট, ব্রীজ-কার্লভাট, বসতভিটা ও হাজার হাজার একর ফসলি জমি এখন যমুনার পেটে। বৃহস্পতিবার(১১ অক্টোবর) সন্ধায় ফের যমুনার ঘুর্নি¯্রােতে মোরাদাবাদ অংশের শশারিয়া বাড়ী এলাকায় ৪০ মিটার ধ্বসে পড়েছে। নতুন করে ভাঙ্গন আতংক দেখা দিয়েছে যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে। বাঁধের আশপাশের বাড়ীঘর ও ফসলি জমি হুমকীর মুখে পড়ায় ভাঙন আতংকে র্নিঘুম রাত কাটছে যমুনাপাড়ের বাসিন্দাদের।

শশারিয়া বাড়ী গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হাই জানান, বাঁধের নিন্মমানের কাজ, বাঁধ আশপাশ এলাকায় বালু উত্তোলন ও বন্যার পর বাঁধের অপর পাশে নতুন চর জেগে উঠায় শশারিয়া বাড়ী অংশে যমুনার পানি আঘাত হানছে। ফলে তলদেশ থেকে মাটি সড়ে গিয়ে বাঁধে ধ্বস দেখা দিয়েছে।

পাথর্শী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফেতেখার আলম বাবুল জানান, বাধঁ ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকার অসংখ্য বাড়ীঘর ও ফসলিজমি নদী গর্ভে বিলিনের আশংকা করেছেন তিনি।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী এ প্রতিবেদককে বলেছেন, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় গভীরতার সৃষ্টি হওয়ায় প্রায় ৩০ মিটার ধসে গেছে। মেরামতের জন্য জিও ব্যাগ পাঠানো হয়েছে।

বাধঁ সংস্কারে পানি উন্নয়নের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছলেও এখনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। দ্রুত ও টেকশই কাজ না করলে নদী গর্ভে বাড়ীঘর ফসলি জমি বিলিন হয়ে নদীভাঙ্গা নিঃস্ব মানুষের তালিকা আরো র্দীঘ হবে এমনটাই জানালেন যমুনার পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা।