সোহেল রহমান, বালি থেকে : বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও আমদানি বেড়ে যাওয়া নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে এসব বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়াতে বলেছে সংস্থাটি। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা চলাকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএমএফ।
গতকাল শুক্রবার সকালে ইন্দোনেশিয়ার বালির ওয়েস্টিন হোটেলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিতসুহিরো ফুরুসাওয়া’র সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আইএমএফ-এর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, তারা শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি বিষয়ক দু’তিনটি পয়েন্ট উত্থাপন করেছে। এগুলো হচ্ছেÑ এনপিএল (খেলাপি ঋণ) কেন বেড়ে গেলÑ এটি একটি সমস্যা। ব্যাংকগুলোর প্রভিশনিং ঠিকমত হচ্ছে না। তারা এ বিষয়ে মনোযোগ দিতে বলেছে। আর আমদানি কেন এতো বাড়লোÑসেদিকেও নজর দিতে বলেছে আইএমএফ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর জানিয়েছেন যে, আমদানির প্রবণতা এখন কমে আসছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতের সংস্কার নিয়ে আমি একটি প্রতিবেদন তৈরি করবো। এখানে সব কিছুর উল্লেখ থাকবে। আগামী এক মাসের প্রতিবেদনটি তৈরির কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, সাধারণত একটা কথা পাবলিকলি বলা হয় সেটা হচ্ছে, হাই ইমপোর্ট ম্যাটার অফ ট্রান্সফার অব ফান্ড মানে ‘মুদ্রা পাচার’। কিন্তু এই ধরণের বিশ্লেষণের সাথে আমি একমত নই। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ থেকে খুব বেশি মুদ্রা পাচার হচ্ছে না। অর্থ পাচার হয় তখন, যখন পরিস্থিতি থাকে অনিশ্চিত। কী হবে দেশেÑ ইত্যাদি, ইতাদি। তবে আমার মনে হয় না যে, বাংলাদেশ এখন অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে।
বিশ্বব্যাংকের মানব সম্পদ সূচক প্রতিবেদন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা আরও ভালো হলে বাংলাদেশের মানব সম্পদ সূচক (হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স) অনেক ভালো হতো। আমাদের স্বাক্ষরতার হারও আপটু-মার্ক না। এটি ৭০-এর নীচে রয়েছে। তবে স্বাক্ষরতার হার ৮৮ শতাংশ হওয়া উচিত। আমাদের উচ্চ শিক্ষা ও প্রাথমিক শিক্ষা উন্নতমানের নয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের হিউম্যান ক্যাপিটাল ইনডেক্স-এ নেপাল ও শ্রীলঙ্কাকে আমাদের এক ধাপ এগিয়ে দেখানো হয়েছে। এটা নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। কিন্তু আমার মনে হয় না, শ্রীলঙ্কা আমাদের উপরে রয়েছে। সম্পাদনা : ইকবাল খান