যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা-জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। মানুষের চিন্তাধারায় এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আবিস্কারের নেশায় মানুষ ছুটছে মহাশূন্যে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ কতটুকু এগিয়েছে চিন্তাধারায়? সোশ্যাল সাইটে ঢুঁ মারলেই বেশিরভাগ বাঙালির নোংরা চিন্তাধারা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। ধারণা পাওয়া যায় বিয়ের জন্য পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন থেকেও! হ্যাঁ, ঠিক তাই।
প্রখ্যাত নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পাত্র/পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনের কিছু ছবি শেয়ার করে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন। তিনি লিখেছেন, বাঙালি নাকি প্রগতিশীল! আজও জাত, ধর্ম ঠিক থাকা চাই। আজও পাত্রীর গায়ের রঙ ফর্সা হওয়া চাই। আজও পাত্রীকে সুন্দরী হওয়া চাই। আজও পাত্রর চেয়ে পাত্রীর বয়স কম হওয়া চাই। পণ আগেও চাইতো, এখনও চায়। তবে আগে যেটা চাইতো না লোকে , এখন চায়— সেটা হলো পাত্রীর টাকা, মাস গেলে মাইনে।’
নির্বাসিত লেখিকা আরও লিখেছেন, ‘বিয়ের পর পাত্রীর চাকরি করা চলবে না- এই হুমকিটা বন্ধ হয়েছে। এখন আদেশ জারি হয়, চাকরি বাকরি করে বেতনের টাকাটা পাত্রর হাতে দিতে হবে। জাত চাই, ধর্ম চাই, ফর্সা চাই, লম্বা চাই, স্লিম চাই, শিক্ষিতা চাই, সুন্দরী চাই, পণ চাইয়ের কাতারে যোগ হয়েছে টাকা চাই। বাঙালির লোভ আগের চেয়ে বেড়েছে। এই হলো পরিবর্তন। শুধু বাঙালি নয়, হিন্দু নয় ; বাঙালি অবাঙালি, হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, ক্রিশ্চান- এই উপমহাদেশের সবারই একই হাল।’