খেলোয়াড় তৈরির কারখানা বলা হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে (বিকেএসপি)। যা বাংলাদেশ ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানও। ১৯৮৬ সালে আনুষ্ঠানিক যাত্রার পর থেকে সব ধরনের জাতীয় পর্যায়ের খেলায় তারকা খেলোয়াড় যোগান দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
জাতীয় ফুটবলে অসংখ্য তারকা খেলোয়াড় যোগান দিয়েছে বিকেএসপি । বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দলসহ এখন পর্যন্ত ১৪৭ জন আন্তর্জাতিক ফুটবলার এসেছে এই প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে আগের সেই জোয়ার যেন নেই।
বর্তমানে বয়সভিত্তিক ফুটবলে বিকেএসপির ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকলেও জাতীয় দলে কমে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির খেলোয়াড় সংখ্যা। আগে জাতীয় ফুটবল দলে গড়ে ৫-৬ জন সদস্য এখান থেকে যেত। কিন্তু বর্তমান সংখ্যাটা একেবারেই কম। সর্বশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ দলের হয়ে মামুনুল ইসলাম ছাড়া আর কেউ বিকেএসপির ছিলেন না। গত কয়েক বছরে মামুনুল আর জাহিদ হাসান এমিলি ছাড়া বিকেএসপির বলার মতো কেউ নেই।
হঠাৎ কেন ভাটা পড়লো তারকা খেলোয়াড় তৈরিতে। এমন প্রশ্নের জবাবে বিকেএসপির বর্তমান মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আনিছুর রহমান বলেন, “মাঝখানে কোনও কারণে হয়তো খেলোয়াড় কম গেছে। সেই কারণ আমি বলতে পারবো না, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। তবে এটা বলতে পারি, আবারও জাতীয় ফুটবল মাতাবে আমাদের ছেলেরা।”
বয়সভিত্তিক দলগুলোতে বিকেএসপির ছেলেরা খুব ভালো করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বয়সভিত্তিক দলগুলোতে দারুণ কিছু খেলোয়াড় রয়েছে। তারা খুবই ভালো করছে। আশা করছি এরা জাতীয় দলে গিয়ে আবারও ফুটবলকে আগের অবস্থায় নিয়ে যাবে।”
বর্তমানে বিকেএসপিতে কোনও বিদেশি ফুটবল কোচ নেই। আগে ৪-৫ জন ছিল। বিদেশি কোচ না থাকায় ছেলেদের কোনও সমস্যা হচ্ছে না জানিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিছ বলেন, “আমাদের কোচ যারা আছেন, তারা বেশ দক্ষ। এই ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে তারা কাজ করছেন। প্রায়ই বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছেন। এটা আমাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ। কাজেই বিদেশি কোচ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করছি না। নিজেদের কাজ নিজেরা করতে পারাই ইতিবাচক।”
প্রসঙ্গত, সাভার ছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুরে বিকেএসপির মোট পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে শুধু সাভারে ফুটবল প্রশিক্ষণার্থী রয়েছেন ১৩০ জন। এছাড়া ৩০ জন নারী ফুটবলার এখানে প্রশিক্ষিত হচ্ছেন।