টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শারমিন জোহা শশী। তার সমসাময়িক অনেকে বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। কিন্তু এখনো তিনি সিঙ্গেল। প্রতি বছরই বিয়ে করবেন বলেও করছেন না। এবার জানালেন, এখনো বিয়ের জন্য তিনি নিজেকে প্রস্তুত করেননি। তার ভাষ্য, এই সময়ে বিয়ে নিয়ে ভাবছি না। বিয়ে নিয়ে কোনো পরিকল্পনাও নেই। এটি কারো হাতে নেই।এটি কারো হাতে নেই।
সৃষ্টিকর্তা যখন চাইবেন তখনি বিয়ের পিড়িতে বসবো। পরিবার থেকে বিয়ের জন্য বলা হয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা সময় পরিবার থেকে বিয়ের জন্য অনেক বলা হতো। কিন্তু আমার গড়িমসির কারণে এখন আর সেভাবে বলে না। বিয়ের সিদ্বান্ত পরিবার আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছে। সত্যি বলতে, বিয়ে নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। সবাইকে জানিয়েই কাজটি করবো। শশী দীর্ঘদিন ধরে টিভি নাটকে অভিনয় করছেন। তার শুরুর সময় আর এই সময়ে অনেক ব্যবধান রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। সেই ব্যবধানটি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যখন টিভি নাটকে অভিনয় শুরু করি তখন একটি এক ঘন্টার নাটক শেষ করতে তিন দিন সময় নিতো। এখন একদিনেই শেষ করা হয় এক ঘন্টার নাটকের শুটিং। ফলে নাটকের মান কমে যাচ্ছে। এরমধ্যে হয়তো দু’একটি নাটক ভালো হচ্ছে। তবে তার সংখ্যা খুব বেশি বলা যাবে না। এই সময়ে টিভি নাটকের অসংগতিগুলো কি? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটি বিষদ একটি বিষয়। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো বেশি গোছালো হওয়া উচিত। স্ক্রিপ্টের দিকে নির্মাতাদের জোর দেওয়া প্রয়োজন। বাজেটের বিষয়টি নিয়েও সবার ভাবা উচিৎ। এই বিষয়গুলোর আমরা উত্তরণ করতে পারলে আমাদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল হবে। গেল রোববার থেকে এনটিভিতে প্রচার শুরু হয়েছে এই অভিনেত্রীর ‘মায়া মসনদ’ শিরোনামের নতুন একটি সিরিয়াল। রূপকথার গল্প নিয়ে নির্মিত এ সিরিয়ালটি লিখেছেন অরিন্দম গুহ। নাটকটির পর্ব পরিচালক আতিকুর রহমান বেলাল। ভিএফএক্স ও থ্রিডি গ্রাফিকস-নির্ভর এই সিরিয়ালে শশীকে দেখা যাচ্ছে মেঝো বউয়ের চরিত্রে। সিরিয়ালটি নিয়ে তিনি দারুণ উচ্ছ্বসিত। এ প্রসঙ্গে বলেন, মসনদ এর আভিধানিক অর্থ রাজসিংহাসন। কিন্তু অন্যভাবে দেখতে গেলে মসনদের অর্থ আধিপত্য, কর্তৃত্ব, প্রভাব বা ক্ষমতা। রাজপ্রাসাদের সব বউ চান তার স্বামী ক্ষমতা গ্রহণ করুক। তাহলে তিনি রাজ্যের রানী হবেন। রাজপ্রাসাদের সবার মধ্যে এই লোভ দেখা যায়। এভাবে সিরিয়ালের গল্পটি এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশে এর আগে এমন সিরিয়াল নির্মাণ হয়নি। আমি বিশ্বাস করি দর্শক এই সিরিয়াল দেখে হতাশ হবে না। এদিকে এই অভিনেত্রীর হাতে এখন এসএম শাহীনের ‘সোনাভান’, দেবাশীষ বড়–য়া দ্বীপের ‘ভালোবাসা প্রেম নয়’, রুলিন রহমানের ‘ভালোবাসা কারে কয়’, শাহীন সরকারের ‘জ্ঞানী গঞ্জের প-িতেরা’ এবং ‘দুলাভাই জিন্দাবাদ’ শীর্ষক ধারাবাহিকগুলো রয়েছে। প্রতিটি ধারাবাহিকে শশী ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন। কোনোটিতে চঞ্চলা মেয়ে, আবার কোনোটিতে প্রতিবাদী মেয়ের চরিত্রে। কোহিনূর আক্তার সুচন্দা পরিচালিত ‘হাজার বছর ধরে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দারুণ দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন এ পর্দাকন্যা। কিন্তু এরপর তাকে আর নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি। তবে অনেক ছবির প্রস্তাব পেয়েছেন বলে জানান শশী। নতুন কোনো চলচ্চিত্রে দেখা না যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে প্রায়শই চলচ্চিত্রের প্রস্তাব আসে। কিন্তু সেগুলোর কোনোটির গল্প, আবার কোনোটির পরিচালক পছন্দ না হওয়ায় কাজ করা হয় না। অর্থাৎ ব্যাটে-বলে মিলছে না বলেই তা করা হচ্ছে না। সব কিছু মনের মতো হলেই নতুন চলচ্চিত্রে কাজ করবো। আমি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য প্রস্তুত আছি। যে গল্প ও চরিত্র আমাকে দর্শকদের কাছে টানতে পারবে বলে মনে করি সেটিতে অবশ্যই অভিনয় করবো।