আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের জরমনদী গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সা চালক ফরিদ আহম্মেদ বাকীর ছেলে থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত সাব্বির হোসেন সৌমিককে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ বিনামূল্যে প্রতিমাসে রক্ত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এই সংগঠনটি আজীবন সৌমিককের জন্য প্রয়োজনীয় রক্ত সরবরাহ অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্র“তি দেয়।
মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে সরকারি কলেজ পরিবার বাঁধনের তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. হাসান কবির, বাঁধন পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবুর উপস্থিতিতে রিক্সা চালক ফরিদ আহম্মেদ বাকীর ছেলে থ্যালাসামিয়ায় আক্রান্ত সৌমিককে বিনামূল্যে এই রক্ত সরবরাহের প্রতিশ্র“তি দেন।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাঁধন গাইবান্ধা সরকারি কলেজ পরিবারের যুগ্ম আহবায়ক মো. মিল্লাত হোসাইন, সদস্য সচিব শাহাদৎ হোসেন, ওবায়দুল ইসলাম, তিতুমীর প্রধান, হাসানুজ্জামান লিমন ও বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ ইউনিটের দপ্তর সম্পাদক আতিকুর রহমান।
সাব্বির হোসেন সৌমিক গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের জরমনদী গ্রামের হতদরিদ্র রিক্সা চালক ফরিদ আহম্মেদ বাকীর ছেলে। তার মেয়ে ফরিদা আকতার সম্প্রতি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। বিগত ২০১১ সাল থেকে সৌমিক থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত। তাকে প্রতিমাসে ১ থেকে ২ ব্যাগ রক্ত প্রদান করতে হয়। সৌমিক গাইবান্ধা শহরের সিরাতুল মুস্তাকিন ক্যাডেট মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। সম্প্রতি সাব্বির হোসেন সৌমিক থ্যালাসামিয়া রোগে আক্রান্ত খবরটি বিভিন্ন পত্রপত্রিকাসহ সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে প্রচার হওয়ায় বাঁধন নামে সংগঠনটি সৌমিকের পাশে এসে দাঁড়ায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বাঁধন গাইবান্ধা সরকারি কলেজ পরিবার ২০১৭ সালে ২৭ নভেম্বর থেকে গাইবান্ধায় কাজ করছে। সংগঠনটি বিনামূল্যে রক্তের গ্র“প নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ, বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, শীতের সময় দুঃস্থ অসহায়দের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে আসছে।