তিন মাস আগেও এক ডজন পোল্ট্রির ডিমের দাম ছিল ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা, এরপর কয়েক ধাপে দাম বৃদ্ধি। এখন তা দাঁড়িয়েছে ১১৫ টাকা বা তার বেশি। রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে এখন এই দামে ক্রেতাকে ডিম কিনতে হচ্ছে।
শুক্রবার ও শনিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, হাতিরপুল, শান্তিনগর, মানিকনগর, গোপীবাগ ও মতিঝিলসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১০৫-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি মুরগির ডিম এক ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এছাড়া হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকা দরে।
অথচ হঠাৎ ডিমের দাম বাড়ার যৌক্তিক কারণ নেই ব্যবসায়ীদের কাছে।
বিক্রেতারা বলছেন, আমাদেরকেই বেশি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রিও করতে হচ্ছে। এখানে আমাদের কোনও হাত নেই।
তবে অনেকে বলছেন, মধ্যস্বত্বভোগী এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বাজার চড়া। তাদেরকে সরকারের নজরদারিতে না আনতে পারলে নিত্য এ পণ্যটি নিম্নবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
ডিম ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতি ডজন ডিম (১২টি) ১০৫-১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এক সপ্তাহ আগেও ৯৫-১০৫ টাকা ডজনে ডিম বিক্রি করেছেন।
তারা বলছেন, এখন ডিমের চাহিদা বেশি। সে অনুযায়ী খামারিরা সরবরাহ করতে পারছেন না। ফলে দাম কিছু বাড়তির দিকে। তবে দাম বাড়লেও আমাদের বিক্রি কমেনি। আবার লাভও বাড়েনি।
ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে ডিম উৎপাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাহের আহমেদ বলেন, আসলে বেশকিছু কারণে অনেক খামারি তাদের খামার বন্ধ করে দিচ্ছেন; যার প্রভাব পড়ছে ডিমের বাজারে। চাহিদা অনুযায়ী এখন ডিম বাজারে আসছে না। আর চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে।
তবে এই প্রবণতা কিছুদিনের মধ্যে কেটে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।