শুরু থেকেই বিপর্যয়। সেটি সামলে ক্ষণিকের জন্য ঘুরে দাঁড়ানো তো আবার উইকেট দিয়ে সেই আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া। ঘরের মাঠ, চেনা উইকেটেও এমন ভরাডুবি টাইগারদের ব্যাটিংয়ে।
গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বিন মুর্তজার বলা কথাটাই তাহলে মিলে গেল। মিরপুরের উইকেট ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। শুরু থেকেই ইমরুল কায়েসের কি নিখুঁত ব্যাটিং কিন্তু বাকিরা উইকেট দিয়ে এসেছেন নিয়মিত বিরতিতে। লিটন দাস বিদায় নেন দলীয় ১৬ রানের মাথায় ১৪ বলে চার রান করে। এরপর অভিষিক্ত ফজলে রাব্বি ফেরেন শূন্য রানে।
ইমরুল-মুশফিক জুটি রান তুলছিলেন ঠিকঠাক কিন্তু এগোতে পারেনি বেশিদূর। মাভুতার বলে খেই হারালেন ১৫ রানের মাথায়। মুশফিকের বিদায়ের পর মোহাম্মদ মিঠুন এসেও রান তুলছিলেন দ্রুত। এই তাড়াহুড়ো ব্যাটিংয়েই ঝামেলা পাকালো সেও। ৪০ বলে ৩৭ রান করে কাইল জার্ভিসের বলে তুলে দিলেন ক্যাচ।এরপর মাহমুদুল্লাহ শূন্য রানে আর মেহেদী হাসান মিরাজ হতাশায় ডোবালেন ১ রানে আউট হয়ে। ইমরুল অটল তার জায়গায়। শেষ পর্যন্ত লম্বা সময় ধরে ইমরুলকে সঙ্গ দিলেন মোম্মদ সাইফুদ্দিন। ইমরুল কায়েস তুলে নেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। দুর্দান্ত ইনিংসটা উৎসর্গ করলেন নবজাতক ছেলে শুয়াইব বিন কায়েসকে। ১৪০ বলে করেন ১৪৪ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। ছিল ৬টি ছক্কা আর ১৩টি চার।দিনের শুরুটা হতাশায় শুরু হলেও ইমরুলের ব্যাটে ভর করে বড় স্কোর গড়ল বাংলাদেশ। ইমরুলের সঙ্গে জুটি গড়ে সাইফুদ্দিনও তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক।৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৭১ রান। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হল অধিনায়কের কথাটাই। মিরপুরের উইকেট ক্ষণে ক্ষণে বদলায়।বাংলাদেশ একাদশলিটন দাস, ইমরুল কায়েস, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, মুশফিকুর রহিম, (উইকেটকিপার), মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), নাজমুল ইসলাম, অপু, মুস্তাফিজুর রহমান।জিম্বাবুয়ে একাদশ হ্যামিলটন মাসাকাদজা (অধিনায়ক), কেফাস ঝুওয়াও, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর (উইকেটকিপার), শন উইলিয়ামস, পিটার মুর, সিকান্দার রাজা, ডোনাল্ড তিরিপানো, ব্রান্ডন মাভুতা, কাইল জারভিস, টেন্ডাই চাতারা।