আগুনে দগ্ধ কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য আর বিদেশ যেতে না হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৪ অক্টোবর, বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই ইনস্টিটিউটে বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগুনে দগ্ধ কাউকে যেন চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না হয় সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যচ্ছে। এ জন্য বাইরে থেকে উন্নত যন্ত্রপাতি আনার পাশাপাশি ডাক্তার ও নার্সদের বাইরে বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। দেশে চিকিৎসাসেবা উন্নতমান করতে যা যা করা দরকার আমরা তা করছি।’
‘স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দেশের মানুষের সেবা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা একান্ত কাম্য। সেই লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে প্রতিটি বিভাগে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশে জনসংখ্যা বেশি কিন্তু ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা কম। সে কারণে ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আমরা তাদের বাইরে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমরা প্রতিটি জেলার হাসপতালগুলোকে উন্নত করার চেষ্টা করছি। সেখানেও বার্ন ইউনিট তৈরি করার চেষ্টা করছি। এ ছাড়া প্রত্যেক উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন তৈরি করে দিচ্ছি। এর জন্য যা যা যন্ত্রপাতি ক্রয় করা দরকার, তা আমরা করে দিচ্ছি।’
পুড়ে যাওয়া মানুষের চিকিৎসায় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে এবং ২০১৫ সালে সরকার উৎখাতের নামে হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, পেট্রোল বোমা মারা হয়েছে গাড়িতে। আগুন দিয়ে রেল পুড়িয়েছে, লঞ্চ পুড়িয়েছে, ৫৮২টি স্কুল পুড়িয়েছে। এখনো সেই পোড়া ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে মানুষ।’
‘আমরা গড়ে তুলি, বিএনপি-জামায়াত ধ্বংস করে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসে সে সময় পোড়া মানুষগুলোকে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। আগুনে পুড়ে ৫০০ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। যারা গাড়ি-ব্যবসা হারিয়েছে, তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করেছি। আহতদের অনেককে বিদেশ থেকেও চিকিৎসা করিয়ে এনেছি।’