জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত স্মৃতিসৌধটি জন্মদিন উদযাপনের স্থানে পরিণত হয়েছে। একইসঙ্গে জুতা পায়ে উঠা ও প্রেমিক যুগল আড্ডার স্থানে পরিণত হয়েছে ভাস্কর্যটি। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড হয় বলে অভিযোগ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য্যমণ্ডিত অধিকাংশ জায়গা থাকলেও শিক্ষার্থীরা জন্মদিন উদযাপনের জন্য স্মৃতিসৌধকে ব্যবহার করে চলছে। জন্মদিন উদযাপনের সময় তারা জুতা পায়ে স্মৃতিসৌধের উপরে উঠে যায়। জন্মদিন উদযাপন শেষে তারা কেকের অবশিষ্ট অংশ, পার্টি স্প্রে ও পেপার স্মৃতিসৌধের উপর রেখে চলে যায়। এতে ধীরে ধীরে জায়গাটি ময়লা-আবর্জনার স্থানে পরিণত হয়েছে।
এছাড়া প্রেমিক যুগলের আড্ডার স্থান হিসেবেও স্মৃতিসৌধ ব্যবহার হচ্ছে। জায়গাটি নিরিবিলি হওয়ায় খুব সকাল এবং সন্ধ্যায় এখানে অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে।
এবিষয়ে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানার্থে নির্মিত স্থাপনায় এ রকম কাজ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি।
অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পরিষদের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন আলো বলেন, স্মৃতিসৌধ কোনও জন্মদিন ও প্রেমিক যুগলের আড্ডার স্থান নয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধার জন্য এটি নির্মিত। এ বিষয়ে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা প্রশাসনের কাছে যাবো এবং বিষয়টির সম্পর্কে অভিহিত করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে কর্তব্যরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসার জানান, বিষয়টি হরহামেশাই আমাদের নজরে পড়ে, কিন্তু আমরা এর প্রতিকার করতে পারি না। কারণ বহিরাগত ও ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের নিষেধ করলে তারা আমাদের গালাগালি ও হুমকি দেয়। এ জন্য আমাদের নিশ্চুপ থাকতে হয়।
এ বিষয়ে প্রশাসনকে একাধিকবার অভিহিত করা হলেও দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মোয়াজ্জেম হোসেন আরটিভি অনলাইনকে বলেন, জনবল অভাবের কারণে আমরা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাতে পারি না। এ বিষয়ে কয়েকবার প্রশাসনকে অভিহিত করা হলেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শাহিনুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে জানান, এ বিষয়টি আমরা নিশ্চয় খতিয়ে দেখবো এবং এর পর থেকে যাতে না হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিবো।