বগুড়া অফিস:
ঘনিয়ে আসছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বগুড়ার ৭টি সংসদীয় আসনগুলোতে বেড়েছে জনসংযোগ এবং প্রচার প্রচারণার তৎপরতা। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনে হেবিওয়েট নেতারা নির্বাচনী মাঠে থাকায় তরুণ নেতাদের মনোনয়ন হতাশা বেড়েছে। প্রচারণা করতে গিয়ে নিজ দলের কর্মীদের নানা প্রশ্নের মুখে মাঝেমধ্যেই বিপাকে তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। তবে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধিক নেতা জনসংযোগে রয়েছেন। প্রত্যেকেই মনোনয়নের বিষয়ে আশাবাদি। বগুড়া-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ রেজাউল করিম তানসেন। তিনি জাসদ (ইনু) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ও জেলা জাসদের সভাপতি। সম্প্রতি বগুড়া সদর সহ কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলায় পৃথক দুটি জনসভা করেছে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধিন ১৪ দলের অন্যতম শরিক ‘জাসদ’। প্রত্যেক জনসভায় জাসদ কেন্দ্রীয় সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রেজাউল করিম তানসেনকেই বগুড়া-৪ আসনের প্রার্থী ঘোষনা করায় আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বেড়েছে হতাশা। আবার অনেক তরুণ মনোনয়ন প্রত্যাশী জনসংযোগে গিয়ে হেবিওয়েট নেতাদের সমর্থক ও কর্মীদের লাঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাহালু-নন্দীগ্রাম উপজেলায় দফায় দফায় উঠান বৈঠক, সমাবেশ ও জনসংযোগে ভোটারদের আলোচনায় এসেছেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন। সাংগঠনিক কর্মকান্ড সহ প্রায় প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতির প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন অধ্যাপক আহছানুল হক। তিনি কাহালু উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা। তবে নিজের প্রচারণার চেয়ে আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন জনগণের কাছে ধরাকেই তিনি বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন বলে গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীদের সক্রিয় করার পাশাপাশি হারানো আসন পুনরুদ্ধারে ব্যাপক জনসংযোগে রয়েছেন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট রাফী পান্না। বসে নেই জেলা বিএনপি নেতা আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন। দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখছেন তিনি। জনসংযোগে তৎপর বিএনপির অ্যাডভোকেট গোলাম আকতার জাকির ও জামায়াত নেতা মাওলানা তায়েব আলী। তবে জেলা বিএনপির ধর্মীয় সম্পাদক মাওলানা ফজলে রাব্বি তোহার বিরুদ্ধে অর্ধডজন মামলা থাকায় তিনি জনসংযোগে থাকতে পারছেন বলে দাবি করেছেন।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ও জনসংযোগ করছেন গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাজী নুরুল আমিন বাচ্চু ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক।