শিরোনাম
রাজশাহীতে শুরু হতে যাচ্ছে ঋত্বিক চলচ্চিত্র উৎসব
- Update Time : বৃহস্পতিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৮
- ১৮৭ Time View
উৎসবকে সফল করতে চলছে প্রস্তুতি ॥ সম্মাননা পদক পাবেন দুজন গুনী
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ॥
ঋত্বিক কুমার ঘটক, উপমহাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চলচ্চিত্রকার। আগামী রোববার (৪ নভেম্বর) এ খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকারের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। জন্মবার্ষিকীতে চলচ্চিত্রকারের স্মরণে রাজশাহীতে আয়োজন করা হয় ‘ঋত্বিক ঘটক সম্মাননা পদক প্রদান ও চলচ্চিত্র উৎসব’। প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটকের নামে প্রবর্তিত ‘ঋত্বিক কুমার ঘটক সম্মাননা পদক প্রদান ও চলচ্চিত্র উৎসব’, আর তা ২০০৯ সাল থেকে রাজশাহীতে প্রচলন ঘটেছে। রাজশাহীর ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি প্রতিবছর পদ্মাশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত গুনী চলচ্চিত্রকারের স্বরণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। থিয়েটার, সিনেমা তথা সংস্কৃতি অঙ্গনে অসমান্য অবদানের জন্য গুনীব্যাক্তিদের সম্মাননা পদক প্রদান করা হয় এ উৎসবে।
ঋত্বিক কুমার ঘটকের বহুল প্রচলিত উক্তি ‘ভাবো, ভাবো। ভাবা প্র্যাক্টিস করো’-কে স্লোগান হিসেবে সামনে রেখে ৭ম বারের মত আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘ঋত্বিক কুমার ঘটক সম্মাননা পদক প্রদান ও চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৮’। আগামী ৪-৬ অক্টোবর তিন দিনব্যাপী এ চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে রাজশাহীতে। এবছর সম্মাননা পদক পাবেন দুজন গুনী। তাই উৎসবকে সফল করতে চলছে প্রস্তুতি। রাজশাহীর চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কর্মীরা উৎসবে ঘিরে ব্যাস্ত সময় পার করছেন।
রোববার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় রাজশাহীর মিয়াপাড়াস্থ ঋত্বিক ঘটকের পিতৃভিটায় (রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বর) ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি রাজশাহী আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক সম্মাননা পদক-২০১৮ প্রদান করা হবে ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেদকে। উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি থাকবেন, উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।
ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি রাজশাহীর সভাপতি ডা. এফএমএ জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি থাকবেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, শিক্ষাবিদ ও কবি রুহুল আমিন প্রামানিক, বিশিষ্ট চলচ্চিত্রকার আকরাম খান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল। ঋত্বিককে নিয়ে স্মৃতিচারণ করবেন, চলচ্চিত্র প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা করবেন, রাজশাহীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ধ্রুপদালোক এবং সঙ্গীত পরিবেশনায় থাকবেন রকিবুল হাসান রবিন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন (৫-৬ অক্টোবর) নগরীর পাঠান পাড়াস্থ লালন শাহ মুক্তমঞ্চে সন্ধ্যা ৬টা হতে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বিগত উৎসবগুলোতে নগরীর কয়েকটি স্থানে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য দু’ধরণের চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হলেও এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রর্দশন করা হবে। ঋত্বিক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিসিয়াল মিডিয়া প্রোমোটার শামীউল আলীম শাওন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শামীউল আলীম শাওন ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির বরাত দিয়ে জানান, গতবছর বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী ও নাট্যজন আসাদুজ্জামান নূর, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী ও প্রখ্যাত অভিনেতা ব্রাত্য বসু, বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান, ভারতের কেরালা রাজ্যের চলচ্চিত্র সমালোচক ভি কে জোসেফ, লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ফজলুল হক, শিক্ষাবিদ ও কবি রুহুল আমিন প্রামাণিক কে ‘ঋত্বিক কুমার ঘটক সম্মাননা পদক-২০১৭’ প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০১৬ সালে চলচ্চিত্র নির্মাণে অনন্য অবদানের জন্য ভারতের বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ও ঢাকার মোরশেদুল ইসলাম, চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলনে অনন্য অবদানের জন্য ভারতের প্রেমেন্দ্র মজুমদার, চলচ্চিত্র গবেষণায় অনন্য অবদানের জন্য ঢাকার অনুপম হায়াৎ এবং মঞ্চ নাটক ও চলচ্চিত্রে আলোকসম্পাতে অনন্য অবদানের জন্য রাজশাহীর আবু তাহেরকে ‘ঋত্বিক কুমার ঘটক সম্মাননা পদক-২০১৬’ প্রদান করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ঋত্বিক কুমার ঘটক ১৯২৫ সালের ৪ নভেম্বর পুরান ঢাকার ঋষিকেশ দাস লেনে জন্মগ্রহণ করেন। রাজশাহীর মিয়াপাড়াস্থ ঋত্বিক ঘটকের পিতৃভিটায় বসবাস করেন। ১৯৪৭ এর ভারত বিভাগের পরে তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়। ঋত্বিক ঘটক প্রথম নাটক ‘কালো সায়র’ লেখেন ১৯৪৮ সালে। ১৯৫১ সালে তিনি ভারতীয় গণনাট্য সংঘে (আইপিটিএ) যোগদান করেন। তিনি চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন নিমাই ঘোষের ‘ছিন্নমূল’ (১৯৫১) সিনেমার মধ্য দিয়ে। এ ছবিতে তিনি একই সঙ্গে অভিনয় করেন এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এর দু’বছর পর তার একক পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘নাগরিক’। বাংলা চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে তিনি সত্যজিৎ রায় এবং মৃণাল সেনের সঙ্গে তুলনীয়। ভিন্নধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণের কারণে ঋত্মিক যেমন প্রশংসিত ছিলেন, ঠিক তেমনি বিতর্কিত ভূমিকাও রাখেন। তার আলোচিত নির্মাণ ছিল অদ্বৈত মল্লবর্মণের উপন্যাস অবলম্বনে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘নাগরিক’,‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’, ‘অযান্ত্রিক’ -এর মতো অসামান্য সৃষ্টিকর্মের সুবাদে বাংলা চলচ্চিত্রে তিনি অমর হয়ে আছেন। ক্ষণজন্মা গুনী এ চলচ্চিত্রকার ১৯৭৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় মারা যান।
More News Of This Category
ফটো গ্যালারী
প্রধান উপদেষ্টা:- মো. সাইফুল ইসলাম
অতিরিক্ত সচিব, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
উপদেষ্টা:- মো: রফিকুল ইসলাম (অব:),
সাবেক ডিআইজি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, বাংলাদেশ পুলিশ
আইন উপদেষ্টা:- মেজবা শরীফ
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
সম্পাদক ও প্রকাশক: আরজে সাইমুর রহমান
নির্বাহী সম্পাদক: মো. আরমানুজ্জোহা
প্রধান কার্যালয়: ৭৮/১৮/১, সানজিদ টাওয়ার, লিফট-৯, পূর্ব রামপুরা,বৌবাজার, ঢাকা
ফোন : 01681648600, 01911459072
ই-মেইল: Swadeshnews24@gmail.com