সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যফ্রন্ট চাইলে আরো আলোচনা হতে পারে। আগামী ৮ই নভেম্বর পর্যন্ত আলোচনার সূচি রয়েছে। এরপরে আলোচনা হতে পারে। গণভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আলোচনা অত্যন্ত খোলামেলা পরিবেশে হয়েছে। তারা যেসব বলতে চেয়েছেন সবই বলেছেন। অনেকে তিন-চারবারও কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে তাদের প্রতিটি বক্তব্য শুনেছেন। তাদের নেতারা বক্তব্য দিয়েছেন, আমাদের পক্ষ থেকেও কিছু সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেছেন সভা-সমাবেশ বা মত প্রকাশে কোনো বাধা আর হবে না।তবে রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ না করার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলাদা একটি কর্নার করে দেয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে তারা কথা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের বলেছেন যে বিদেশি কেউ আসবে তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ইভিএম নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমরা সীমিত আকারে ব্যবহারের পক্ষে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মামলার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, বলা হয়েছে রাজনৈতিক যেসব মামলা তার তালিকা দেন, এসব তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে। এতে সরকারের পক্ষ থেকে কোন হস্তক্ষেপ করা হবে না, এসব নিয়ে শঙ্কার কোন কারণ নেই। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হওয়ার নিশ্চয়তা তিনি দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এটা আইন ও আদালতের বিষয়, এর সঙ্গে সংলাপের কোনো বিষয় আসতে পারে না। আর তার যে দু’টি মামলায় দন্ড হয়েছে সেটা ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময়।
সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনে নিয়োগের বিষয়ে ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে ড. কামাল হোসেনের কাছেই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, ২০০১ সাল ছাড়া কোনো নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা ছিল না। এবার সেই দাবি কেন করছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ড. কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমন অনেক বিষয় ছিল যা আগে তিনি জানতেন না এবং তিনি সব কিছুর বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। সংলাপ আরো চলবে। প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে জানিয়েছেন, তার দরজা সবসময় আলোচনার জন্য খোলা। তারা আসলেই যেকোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।