নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করলো পাকিস্তান। শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জয় কুড়ায় তারা। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে টানা ১১তম সিরিজ জিতলো পাকিস্তান। এই ফরমেটে টানা ৬ সিরিজ জিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। পাকিস্তানের এই রেকর্ডের শুরু দুইবছর আগে। ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে ইংল্যান্ড সফরে ১-০ ব্যবধানে জেতে পাকিস্তান। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বিশ্ব একাদশ, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জেতে তারা। টানা ১১ সিরিজ জয়ের পথে নিউজিল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় শিকার।
টি-টোয়েন্টিতে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দলটির এটি টানা অষ্টম জয়। আর রান তাড়া করে এই ফরমেটে টানা ১১তম জয় পেলো পাকিস্তান। আর কোনো দল টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করে এতো ম্যাচে জয় পায়নি। পাকিস্তানের এই জয়যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। এই তালিকায় টানা ৮ ম্যাচ জিতে যুগ্মভাবে দুই নম্বরে রয়েছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। চলতি বছরে টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জয়ের দৌড়েও এগিয়ে পাকিস্তান। এ পর্যন্ত ১৮ ম্যাচের মধ্যে ১৬টিতেই জয় পেয়েছে তারা। ১৩ ম্যাচে ১০ জয় নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ভারত। আর এই সংস্করণে চলতি বছরে ১৩ ম্যাচে মাত্র চারটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শুক্রবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করে নিউজিল্যান্ড। কোরি অ্যান্ডারসন ২৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওপেনার কলিন মানরোও করেন ৪৪ রান। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান। ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইমাদ ওয়াসিম ও হাফিজ নেন একটি করে উইকেট। লক্ষ্য তাড়ায় ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে পাকিস্তানকে ভালো সূচনা এনে দেন ফখর জামান ও বাবর আজম। ফখর ১৫ বলে ২৪ রান করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৪১ বলে ৪০ রান করেন বাবর। বাকি কাজটা সারেন আসিফ আলী, হাফিজরা। আসিফ ৩৪ বলে করেন ৩৮ রান। হাফিজ ২১ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাকিস্তান ম্যাচ জেতে ২ বল বাকি থাকতেই। ম্যাচসেরা হয়েছেন আফ্রিদি। আজ একই মাঠে হবে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।