জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। সিলেটে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই পাঁচ হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। জয় থেকে এখনো ২১০ রান দূরে টাইগাররা। ১১১/৫ সংগ্রহ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। নাজমুল হোসেন শান্তর (১৩) বিদায়ে ৪৬.৫ ওভারে প্রথম সেশন শেষ হয়। ৩২১ রানের লক্ষ্যে ২৬/০ সংগ্রহ নিয়ে চতুর্থ দিনের ব্যাটিং শুরু করে বাংলাদেশ। তিন উইকেট নিয়ে সফরকারীদের জয়ের পথ দেখান অফস্পিনার সিকান্দার রাজা।লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসের ৫৬ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনি। ২৩তম ওভারে এলবিডব্লিউ হন লিটন (২৩)। দলীয় ৬৭ রানে কাইল জার্ভিসের বল মুমিনুল হকের (৯) ব্যাটে লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় সেট ব্যাটসম্যান ইমরুলকে (৪৩) বোল্ড করে জিম্বাবুয়েকে মূল্যবান ব্রেকথ্রু এনে দেন রাজা। চাপের মুখে দলের হাল ধরতে ব্যর্থ বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৬)। বদলি ফিল্ডার ক্রেইগ আরভিনের ক্যাচ বানিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট পূর্ণ করেন রাজা। মাহমুদুল্লাহর বিদায়ে দলীয় ১০২ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৯ রান যোগ হতেই শান্তকে রাজার তালুবন্দি করে উইকেটের খাতায় নাম লেখান লেগস্পিনার ব্রেন্ডন মাভুতা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অভিষেক টেস্ট জিতে দুই ম্যাচ সিরিজে লিড নেয়ার লক্ষ্যে নেমেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু উল্টো হার নিয়ে ঢাকায় ফেরার শঙ্কা ভর করে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২৮২ রানের জবাবে মাত্র ১৪৩ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ১৮১ রানে আটকে দেয় টাইগাররা। টেস্টে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১১ উইকেট (৬ ও ৫) নেন তাইজুল। এই প্রথম দশ উইকেটের কীর্তি দেখান এই বাঁহাতি স্পিনার। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ২১৫ রানের টার্গেটে জয়ের স্মৃতি রয়েছে বাংলাদেশের।