ভারতের যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনে কেনাবেচার ব্যবসা করে, তারা গ্রাহককে প্রতি ৫টি পণ্যের মধ্যে অন্তত একটি নকল দিয়ে থাকে। কসমেটিকস বা পারফিউম ক্রেতাদের এক্ষেত্রে বেশি ঠকিয়ে থাকে ই-কমার্স সাইটগুলো।
লোকালসার্কেলস নামের একটি জরিপ সংস্থার বরাতে টাইমস অব ইন্ডিয়া এমন তথ্য জানিয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠান অন্তত ৩০ হাজার নমুনা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য তুলে ধরেছে বলে দাবি করেছে।
গত ছয় মাসে ভোক্তারা কোনও নকল পণ্য হাতে পেয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে ২০ শতাংশ উত্তরদাতারা হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়েছে।
গবেষণা বলছে, অল্প কিছু সংখ্যক ভোক্তা সঠিক নাকি নকল পণ্য পেয়েছে তা বুঝতে পারে না বলে জানিয়েছে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো কোনটি থেকে সবচেয়ে বেশি নকল পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছায়- লোকালসার্কেলের এমন প্রশ্নে ৩৭ শতাংশ বলেছে স্ন্যাপডিল, ২২ শতাংশ ফ্লিপকার্ট, ২১ শতাংম পিতম ও ২০ শতাংশ বলেছে অ্যামাজন।
জরিপে গ্রাহককে চারটি প্রতিষ্ঠানের কথাই বলা হয়। কোন ধরনের পণ্য সবচেয়ে বেশি নকল হয়- এমন প্রশ্নে ৩৫ শতাংশ ভোক্তা উত্তর দেয়, পারভিউম বা সুগন্ধিজাতীয় পণ্য। একই শতাংশ জানায় কসমেটিকস। ২২ শতাংশ জানায় খেলাধুলার পণ্য এবং ৮ শতাংশ জানায় ব্যাগ নকল হয় বেশি।
তবে এ ধরনের কথা মানতে নারাজ প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা বলছে, নকল পণ্য নিয়ন্ত্রণে খুবই কঠোর তারা। এমনকি কোনও কোনও ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের টাকা ফেরতও দেয়া হয়।
কেউ কেউ বলে, যদি নকল পণ্যর ব্যাপারে তথ্য নিশ্চিত হয় তাহলে সেসব ডিলারের কাছ থেকে পণ্য নেওয়া বন্ধ করা হয়। এমনকি বিক্রেতাদেরও বিষয়টি বুঝতে দক্ষ করে তোলা হয়।
বিশ্বব্যাপি নকল পণ্য একটি বড় সমস্যা। আলিবাবা এবং অ্যামাজনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের জন্যও। বিশেষ করে সেই সব প্রতিষ্ঠানের জন্য যারা কোনও থার্ড পার্টি বিক্রেতার সঙ্গে বড় ধরনের বাজারব্যাপী ছড়িয়ে আছে।
এর আগে মার্কিন সরকার আলিবাবা গ্রুপকে হুমকি দেয় যেন কোনও ধরনের নকল পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে সরবরাহ না করা হয়।
ভারতের ড্রাগ রেগুলেটর সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছে নকল কসমেটিক পণ্য বিক্রি করার অভিযোগে। সেখানকার অল ইন্ডিয়া অনলাইন ভেন্ডর অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র বলেন, নকল ও নিম্নমানের এবং অননুমোদিত পণ্য বিক্রির ফলে সত্যিকারের বিক্রেতাদের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়বে।
ভারতের ভোক্তা অধিকার বিষয়ক বিভাগ এখন বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতে আর কী করা যায় সেটা ভাবছে।